বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর যে তৈরি পোশাক রফতানি হয়, তার সিংহভাগই টি-শার্ট। রফতানি আয়েরও বড় অংশ আসে এ পণ্য থেকেই। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে টি-শার্টের রফতানি উল্লেখযোগ্য কমেছে। রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ শতাংশ কম টি-শার্ট রফতানি হয়েছে।
ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে টি-শার্ট রফতানি হয়েছে ১৩৪ কোটি ৫৯ লাখ ৯৪ হাজার ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ পণ্য রফতানি হয়েছিল ১৪৪ কোটি ৯৬ লাখ ১৯ হাজার ডলারের।
ইপিবির দেশভিত্তিক রফতানি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের শীর্ষ দুই বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। দুটি দেশেই বাংলাদেশের তৈরি টি-শার্ট রফতানি কমেছে অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে। জার্মানিতে কমেছে ২১ ও যুক্তরাষ্ট্রে ৪ শতাংশ।
গত পাঁচ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের রফতানি পরিসংখ্যান বলছে, তিন অর্থবছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছিল বাংলাদেশের টি-শার্ট রফতানি। কিন্তু চলতি অর্থবছরে তা কমে গেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে টি-শার্ট রফতানি হয় ১১৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলারের। এরপর ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ দুই অর্থবছরেই টি-শার্ট রফতানি বেড়েছে। ওই দুই অর্থবছরে টি-শার্ট রফতানি হয় যথাক্রমে ১২৭ কোটি ৮০ লাখ ও ১৪৪ কোটি ৯৬ লাখ ডলারের। চলতি অর্থবছরে টি-শার্ট রফতানি কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৫ কোটি ডলারের।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে টি-শার্ট মূলত একটি মৌলিক পণ্য। বছরজুড়েই পণ্যটির চাহিদা প্রায় একই রকম থাকে। বছরের মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত পণ্যটির ক্রয়াদেশ কিছুটা কম থাকে। কিন্তু চলতি অর্থবছরে স্বাভাবিকের চেয়েও ক্রয়াদেশ কম এসেছে টি-শার্টের। ফলে মৌসুমি প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়েই নিট খাতের পণ্য টি-শার্টের রফতানি কমেছে মূলত ক্রয়াদেশ সংকটের কারণে।
বাংলাদেশে নিট পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, টি-শার্ট একটি মৌলিক পণ্য, যার চাহিদা সারা বছরই দেখা যায় পশ্চিমা দেশগুলোতে। কিন্ত
