১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগের যেসব লিংক বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, সেগুলো আবার চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল কুড়িগ্রাম-ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের যেসব রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল, সেগুলো যেমন আমরা চালু করেছি। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর যেসব লিংক বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল তত্কালীন পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে, সেই লিংকগুলো আমরা আবার চালু করে দিতে চাচ্ছি। যেটা আমাদের রেলকে লাভবান করবে এবং আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো উন্নতি হবে।’
যেসব এলাকায় রেল যোগাযোগ ছিল না, সরকার সেখানেও রেল যোগাযোগ স্থাপন করছে জানিয়ে তিনি বলেন, রেলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ শুধু যাতায়াত নয়, স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহনও যাতে করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পণ্য পরিবহন সহজ হলে কৃষকরা উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার সুযোগ পাবেন।
বিএনপি রেল বন্ধের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কোনো কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্দেশনা ছিল কোনটা কোনটা লাভবান না, সেটা বন্ধ করে দাও। এ নির্দেশনা অনুযায়ী অনেকগুলো রেললাইন বন্ধ করে দেয়া হয় বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে। তাদের নীতি ছিল, ‘যেহেতু লাভ হয় না, সেহেতু এটা চলবে না।’ তারা সেভাবে কিছু পদক্ষেপও নেয়। আমি মনে করি, এটা আমাদের দেশের জন্য একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ দেশের সাধারণ মানুষ চলাচলের জন্য রেলকে বেছে নেয়।
তিনি বলেন, যেটা একেবারে মুমূর্ষু অবস্থায় ছিল এবং যেটা লাভজনক ছিল না বলে যারা এটা বন্ধ করতে চেয়েছিল, আমরা তাদের দেখাতে চাই, রেলকে লাভজনক এবং উন্নত করা যেতে পারে। রেলের মাধ্যমে মানুষের পণ্য পরিবহনের পাশাপাশি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি হতে পারে।
গণভবনের এ অনুষ্ঠান থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ঢাকার সঙ্গে এটিই কুড়িগ্রামের প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস। গণভবন থেকে অনুষ্ঠান
- মাঠ পর্যায়ে আলু উৎপাদন কমেছে
- তদন্তের মুখে পড়তে যাচ্ছেন মাহাথির মোহাম্মদ
- তাপপ্রবাহে সতর্কতা বাড়ল আরো তিনদিন
- স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার ক্লাস চলবে শনিবারও
- জিআই সনদ পেল টাঙ্গাইল শাড়িসহ আরো ১৪ পণ্য
- সরকারি হিসাবের চেয়ে ২০১০ ও ২০১৬ সালে দারিদ্র্যের মাত্রা বেশি ছিল