পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের প্রয়াস

তথ্য আদান-প্রদানে দুদক ও বিএফআইইউর সমঝোতা স্মারক সই

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থ পাচারসংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদানের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদকের পক্ষে সংস্থাটির মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের মহাপরিচালক আল ফিরোজ বিএফআইইউর পক্ষে মহাব্যবস্থাপক অপারেশন হেড মো. জাকির হোসেন চৌধুরী সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, দেশ থেকে অর্থ পাচার রোধ, পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং -জাতীয় অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সমন্বিত প্রয়াসের বিকল্প নেই। সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে সমন্বিত প্রয়াসের শুভযাত্রা হলো।

দুদক সচিব বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন পরিচালিত মানিলন্ডারিং মামলায় সাজার হার শতভাগ। যদিও মামলার সংখ্যা কিছুটা কম। আমরা আশা করছি, বিএফআইইউ দুদকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে কমিশন যদি পর্যাপ্ত তথ্য পায়, তাহলে মানিলন্ডারিং মামলার সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর উপপ্রধান নির্বাহী পরিচালক মো. ইসকেন্দার মিয়া, যুগ্ম পরিচালক মো. নূরুন্নবী, যুগ্ম পরিচালক মো. মাসুদ রানা, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. জহির রায়হান, মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খান, মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মো. মফিজুর রহমান ভূঞা এবং  মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ আইসিটি) একেএম সোহেল প্রমুখ।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে  নির্ধারিত নিয়মে  তথ্য বিনিময়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ দমন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ দমন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ দমনবিষয়ক ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদানের সুযোগ রয়েছে।

অর্থ পাচারসংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তের প্রয়োজনে দুদক ব্যাংক থেকে গ্রাহকের আর্থিক লেনদেনসংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত চাইলে ব্যাংকগুলো ১৮৯১ সালের ব্যাংকার্স বুক এভিডেন্স অ্যাক্টের () ধারা, ১৮৯৮ সালের কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ৯৪ () ধারা কিংবা ১৮৭২ সালের পাবলিক ডকুমেন্টস অ্যাক্ট-এর অজুহাতে তথ্য

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন