বুয়েটে সন্ত্রাস রুখে দেয়ার শপথ শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

সন্ত্রাস সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রুখে দেয়ার শপথ নিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। গতকাল শিক্ষার্থীদের আয়োজনে শপথ অনুষ্ঠানে বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষকও অংশ নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে গণশপথ গ্রহণ করার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্থান পরিবর্তন করে বুয়েট অডিটোরিয়ামে নেয়া হয়। শপথবাক্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের সন্ত্রাস সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থানকে আমরা সম্মিলিতভাবে রুখে দেব। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সব ধরনের অন্যায়, অবিচার বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকারও শপথ নেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

শপথবাক্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, আঙিনায় যেন আর কোনো নিষ্পাপ প্রাণ ঝরে না যায়, আর কোনো নিরপরাধ কেউ অত্যাচারের শিকার না হয়, তা আমরা সবাই মিলে নিশ্চিত করব। নৈতিকতার সঙ্গে সব ধরনের বৈষম্যমূলক অপসংস্কৃতি ক্ষমতার অপব্যবহার আমরা সমূলে উৎপাটন করব।

অনুষ্ঠানে আবরার ফাহাদের স্মরণে মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আবরার হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতেই শপথ নিলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর নির্যাতনে অক্টোবর রাতে আবরার ফাহাদ নিহত হওয়ার পর আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন থেকে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেন তারা। অধিকাংশ দাবি পূরণের আশ্বাসের পরও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের পাঁচটি দাবি তাত্ক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নের বিজ্ঞপ্তি দিলে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আন্দোলন শিথিল করা হয়।

সাদাত পাঁচদিনের রিমান্ডে: আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার এএসএম নাজমুস সাদাতের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন সিএমএম আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর ডিবির লালবাগ জোনাল টিমের পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. ওয়াহিদুজ্জামান গতকাল আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে রিমান্ড আবেদনের শুনানিকালে বিচারকের জিজ্ঞাসায় আসামি জানিয়েছেন, বড় ভাইদের কথামতো তিনি আবরার ফাহাদকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে আসেন।

রিমান্ড শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশের জিআরও এসআই মাজহারুল ইসলাম সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি নাজমুস সাদাতের পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় বিচারক তাকে জিজ্ঞাসা করেন কিছু বলার আছে কিনা? জবাবে তিনি বলেন, আমি বড় ভাইদের কথায় আবরারকে রুম থেকে ডেকে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন