বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে দুই ধাপ অবনমন বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ইফপ্রি) প্রকাশিত ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। এতে চলতি বছর তালিকায় ১১৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮তম। এর আগে তালিকায় ৮৬তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।

ইফপ্রির গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের (জিএইচআই) ভিত্তিতে তৈরি তালিকা অনুযায়ী, ২৫ দশমিক স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় নেপাল শ্রীলংকার পেছনে রয়েছে। তালিকায় শ্রীলংকার অবস্থান ৬৬তম এবং নেপালের ৭৩তম। দেশ দুটির স্কোর যথাক্রমে ১৭ দশমিক ২০ দশমিক ৮। তবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান আফগানিস্তান। ২৮ দশমিক স্কোর নিয়ে পাকিস্তান তালিকায় ৯৪তম, ৩০ দশমিক স্কোর নিয়ে ভারত ১০২তম এবং ৩৩ দশমিক স্কোর নিয়ে আফগানিস্তান ১০৮তম। এছাড়া মিয়ানমার তালিকার ৬৯তম স্থানে রয়েছে।

একটি দেশের মানুষ কী পরিমাণ বা কোন মাত্রায় ক্ষুধাপীড়িত, তা প্রকাশে সূচকটি তৈরি করা হয়। এজন্য চারটি মাপকাঠিতে প্রতিটি দেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হয়। এগুলো হলো অপুষ্টি, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে উচ্চতার তুলনায় কম ওজন, বয়সের তুলনায় কম উচ্চতা শিশুমৃত্যুর হার। চার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে ১০০ স্কোরের ভিত্তিতে জিএইচআই সূচক তৈরি করা হয়। যে দেশের স্কোর যত কম, সে দেশের ক্ষুধা পরিস্থিতি তত ভালো।

এই মাপকাঠিতে ক্ষুধা নেই এমন দেশের স্কোর শূন্য। আর ভয়াবহ ক্ষুধা পরিস্থিতি বিরাজমান দেশের স্কোর ১০০। স্কোর দশমিক বা তার কম হলে সংশ্লিষ্ট দেশে ক্ষুধা সমস্যা কম, ১০ থেকে ১৯ দশমিক স্কোর পাওয়া দেশ ক্ষুধাপীড়িত, ২০ থেকে ৩৪ দশমিক স্কোর পাওয়া দেশ তীব্র ক্ষুধাপীড়িত, ৩৫ থেকে ৪৯ দশমিক স্কোর পাওয়া দেশ আশঙ্কাজনক ৫০ বা তার বেশি স্কোর পাওয়া দেশ চরমভাবে ভীতিকর ক্ষুধাপীড়িত। ২৫ দশমিক স্কোর নিয়ে তীব্র ক্ষুধাপীড়িত দেশের তালিকায় স্থান হয়েছে বাংলাদেশের।

জিএইচআই সূচকে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন ঘটেছে বাংলাদেশের। ১৯৯২ সালে সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫৩ দশমিক ৬। ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৬ দশমিক ১। ২০০৫ সালের সূচকে সেই স্কোর কমে দাঁড়ায় ৩০ দশমিক -এ। বাংলাদেশের স্কোর

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন