বাংলাদেশ থেকে বিদেশী বিনিয়োগকারীর প্রস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম)। গতকাল সংগঠনের নিয়মিত মধ্যাহ্নভোজ সভায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন অ্যামচেমের সভাপতি নুরুল ইসলাম।
গতকাল গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম। অ্যামচেমের সভাপতির সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল ও সংগঠনের সদস্যরা। সূচনা বক্তব্যে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের প্রস্থানের বিষয়টি উল্লেখ করে বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অ্যামচেম সভাপতি।
বাংলাদেশের অগ্রগতির বৈশ্বিক স্বীকৃতিগুলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক প্রবৃদ্ধি ও সফলতার পরও দেশে বেসরকারি বিনিয়োগের স্থবিরতা বজায় আছে, দেশী ও বিদেশী দুই ধরনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। সরকার ডুয়িং বিজনেস সূচকে ১০০-এর মধ্যে অবস্থান করে নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, যা আমাদের উৎসাহ দিচ্ছে। অন্য দেশগুলোও অবস্থান উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই সূচকে অবস্থান উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে আমাদের কিছু তাত্ক্ষণিক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ব্যবসার পদ্ধতি সহজ করা দেশী ও বিদেশী দুই ধরনের বিনিয়োগের জন্যই প্রয়োজন উল্লেখ করে অ্যামচেম সভাপতি বলেন, বিনিয়োগ ধরে রাখার জন্যও ব্যবসার পদ্ধতি সহজ করা দরকার। অ্যামচেম বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার বিদেশী বিনিয়োগ। প্রযুক্তি, ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশগত দক্ষ এবং উত্তম চর্চা স্থানান্তরের জন্যও বিদেশী বিনিয়োগ প্রয়োজন।
বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশে অনেক ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে অ্যামচেম সভাপতি বলেন, তারপর প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের প্রবাহ প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম। অন্যদিকে আমরা শুনতে পাচ্ছি দীর্ঘদিনের বহুজাতিক বিনিয়োগকারী স্যানোফির প্রস্থানের বিষয়টি। এর আগে আমরা শুনেছি জিএসকের বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা। বিনিয়োগ ধরে রাখার জন্য ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নের দরকার আছে।
বিদেশী বিনিয়োগকারীরা আমলাতন্ত্র, বৈষম্য বিবর্জিত আইন ও অবকাঠামো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন অ্যামচেম সভাপতি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেক ভালো আইন থাকলেও তার