ফেনীর সোনাগাজীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৩৭ মামলার আসামি নিহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ৩টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি গ্রামের পাঠানবাড়িসংলগ্ন আজম খান মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি একনলা বন্দুক ও তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।
নিহতের নাম ইকবাল হোসেন (৩৫) ওরফে ইকবাল ডাকাত। তিনি পূর্ব ছাড়াইতকান্দি গ্রামের মৃত আবদুর রব ও গুণধনীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে ফেনী ও মিরসরাই থানায় মোট ৩৭টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, ছাড়াইতকান্দি গ্রামে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছি—এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ৩টার দিকে ওই গ্রামে যৌথ অভিযান চালায়। পুলিশের আভিযানিক দল ছাড়াইতকান্দি গ্রামের পাঠানবাড়িসংলগ্ন আজম খান মার্কেটের সামনে পৌঁছলে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি করলে ইকবাল গুলিবিদ্ধ হন এবং তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে ইকবালকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি একনলা বন্দুক ও তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে। ইকবালের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
ফেনীর ডিবি পুলিশের ওসি রঞ্জিত কুমার বডুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ৩টার দিকে ছাড়াইতকান্দি গ্রামে অভিযানে যাওয়ার পথে আজম খান মার্কেটের সামনে পৌঁছলে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে ইকবাল গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো জানান, ইকবাল পুলিশের তালিকাভুক্ত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে ফেনী ও মিরসরাইয়ে ৩৭টি মামলা রয়েছে।
