৪০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়বে ইউসিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪০০ কোটি টাকার পারপেচুয়াল বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। টিয়ার-ওয়ান মূলধন বাড়ানোর মাধ্যমে ব্যাসেল থ্রি কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি আনার জন্য ব্যাংকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসাপেক্ষে বন্ড ইস্যু করা হবে।

এদিকে অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০১৯ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইউসিবির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬৬ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে টাকা ৭৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল টাকা ৬২ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর সম্মিলিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৩৪ পয়সা, এক বছর আগে যা ছিল ২৩ টাকা ৮৮ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ইউসিবি। সমাপ্ত হিসাব বছরে ব্যাংকটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে টাকা ৫২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা ৫৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর সম্মিলিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৭ টাকা পয়সা, এক বছর আগে যা ছিল ২৫ টাকা ৪৯ পয়সা।

সর্বশেষ সার্ভিল্যান্স রেটিং অনুসারে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) লিমিটেডের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদেডাবল স্বল্পমেয়াদেএসটি-টু ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ হালনাগাদ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)

২০১৭ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় ইউসিবি। তার আগে ২০১৬ হিসাব বছরের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ, ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ২০ শতাংশ নগদ শতাংশ স্টক এবং ২০১৪ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল ইউসিবি শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ১৪ টাকা ৪০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ১৪ টাকা ৩০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৩ টাকা ৭০ পয়সা ২০ টাকা ৫০ পয়সা।

১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে আসা ইউসিবির অনুমোদিত মূলধন হাজার ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন হাজার ১৫৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, দশমিক ৮১ শতাংশ সরকার, ১৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ৪৭ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী বাকি ৪২ দশমিক ৪২ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন