৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) পরিচালনা পর্ষদ। আগামী ২৪ নভেম্বর বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ নভেম্বর।
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত হিসাব বছরে বিএসসির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৬২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮২ পয়সা। ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৯৫ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৫৩ টাকা ৬১ পয়সা।
এদিকে অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৬ পয়সা, সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৫৮ টাকা ৪২ পয়সা।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় বিএসসি। এছাড়া ২০১৭ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ, ২০১৬ হিসাব বছরে ১২ শতাংশ স্টক ও ২০১৫ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বিএসসি শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৫১ টাকা ৬০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ৫২ টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৩৪ টাকা ৯০ পয়সা ও ৬২ টাকা।
১৯৭৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সরকারি এ কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৫২ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২০০ কোটি ৪৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৫ কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৪০। এর মধ্যে ৫২ দশমিক ১০ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার, ১৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৩৪ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৬৩ দশমিক ৪১, অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ২২ দশমিক ১৬।
