চলতি ২০১৯ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সিটি ব্যাংক লিমিটেডের সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৭৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে যা ছিল ৮৫ পয়সা। এ হিসাবে তৃতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির সম্মিলিত ইপিএস কমেছে ৯ পয়সা বা ১০ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ৩০ সেপ্টেম্বর সম্মিলিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৭৯ পয়সা।
অবশ্য তিন প্রান্তিক (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) মিলিয়ে সিটি ব্যাংকের সম্মিলিত ইপিএস আগের হিসাব বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে। সব মিলিয়ে তিন প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ২১ পয়সা।
সর্বশেষ রেটিং অনুসারে, সিটি ব্যাংকের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ টু’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)।
সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১১ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে সিটি ব্যাংক। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর সম্মিলিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৪ টাকা ৫২ পয়সা।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১৯ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় সিটি ব্যাংক। সে বছর ব্যাংকটির ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৫৭ পয়সা। এর আগে ২০১৬ হিসাব বছরে ২৪ শতাংশ ও ২০১৫ হিসাব বছরে ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সিটি ব্যাংক শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ২৩ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের দিনের চেয়ে ২০ পয়সা বা ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ কম। সমাপনী দর ছিল ২৩ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ২২ টাকা ৩০ পয়সা ও ৩৫ টাকা ২০ পয়সা।
১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে আসা ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন দেড় হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৩২৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। বর্তমানে ব্যাংকের ২৭ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ৪৬ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ১১ দশমিক ৪৩ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৮ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ১০ দশমিক ৫৯, অনিরীক্ষিত হালনাগাদ আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৬ দশমিক শূন্য ৭।