আগের ম্যাচে উড়ন্ত স্পেনকে মাটিতে নামিয়েছিল নরওয়ে। সে ম্যাচে সাবেক এ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলটিকে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ড্র নিয়ে। এরপর স্পেনের সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল সুইডেনকে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফেরার। কিন্তু নির্ধারিত সময় পর্যন্ত পিছিয়ে থেকে অপেক্ষা করছিল হার নিয়ে মাঠ ছাড়ার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অতিরিক্ত সময়ে গোল আদায় করে ড্র নিশ্চিত করে স্পেন। আর এ ড্রটিই ‘এফ’ গ্রুপ থেকে স্পেনকে পৌঁছে দিয়েছে ইউরো ২০২০ সালের মূল পর্বে। এদিকে একই রাতে লিচেনস্টেইনকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে মূল পর্ব নিশ্চিত করা ইতালি। চার বিশ্বকাপজয়ী ইতালির কাছে মধ্য ইউরোপের দেশটি উড়ে গেছে ৫-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে।
স্টকহোমে মাঝমাঠের দখল নিয়ে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল স্পেন। কিন্তু সুযোগ তৈরিতে সুইডেন বেশ ভালোই পাল্লা দিয়েছে স্পেনের সঙ্গে। অবশ্য প্রথমার্ধের সবটুকু সময় দুই দল গোলের খোঁজেই কাটিয়ে দেয়। বিরতির পর ৫ মিনিট না যেতেই অবশ্য গোল আদায় করে নেয় সুইডেন। কাছাকাছি জায়গা থেকে দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে দেন মার্কুস বার্গ। এ গোল খেয়ে ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা চালায় স্পেন। কিন্তু গোল যেন সোনার হরিণ। সুইডিশ ডিফেন্স ভেঙে কোনোভাবেই যেন গোল আাাদায় করা যাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে স্পেনের হারকেই মনে হচ্ছিল ম্যাচের অবধারিত ফল। নির্ধারিত সময় অতিক্রম করে ম্যাচ চলে যায় অতিরিক্ত সময়ে। তখন সুইডিশ দর্শকদের অপেক্ষা ছিল শেষ বাঁশি বাজার। আর ঠিক সে সময়েই কর্নার পায় স্পেন। সেই কর্নারে বল চলে আসে ফাবিয়ান রুইজের কাছে। তার পাসেই পা ছুঁইয়ে দলকে সমতা ফেরান রদ্রিগো। এ গোলই নিশ্চিত করে দেয় স্পেনের ইউরোর টিকিট।
ম্যাচের পর মূল পর্বে যেতে পারার স্বস্তির কথা শোনান স্প্যানিশ কোচ রদ্রিগো মোরেনো। তিনি বলেন, ‘স্পেনের মতো দলের জন্য পরের পর্বে যাওয়াটা আবশ্যিক। এটা আমাদের কাছ থেকে চাপ কমিয়ে দিয়েছে এবং কাজ করার জন্য সময় দিচ্ছে। এদিকে এ ম্যাচে চোট নিয়ে ৬০ মিনিটে মাঠ ছেড়ে যান স্পেনের নিয়মিত গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া। যার ফলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এ গোলরক্ষকের আগামী রোববার লিভারপুলের বিপক্ষে খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
এদিকে একই রাতে লিচেনস্টেইনের বিপক্ষে ‘জে’ গ্রুপের খেলায় গোল উৎসবে মেতেছে ইতালি। নতুন রূপে ফিরে আসা অদম্য