বছর চারেক আগে বয়সভিত্তিক দলের হয়ে ভারতকে হারানোর অভিজ্ঞতা আছে সাদ উদ্দিনের। সিনিয়র দলের হয়ে আরেকবার সে মঞ্চ প্রস্তুত করেছিলেন সিলেটের যুবক। কলকাতায় মঙ্গলবার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয় ধরা দিতে দিতে হাত ফসকে বেরিয়ে গেছে। ওই ম্যাচের পর নিজের মাঝে উন্নতির তাগিদ অনুভব করছেন আবাহনীর ২১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
‘আমরা নিজেদের মতো করে খেলছি। দলে ভালো সমন্বয় রয়েছে। কোচের নির্দেশনা মেনে আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ উন্নতির দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। উন্নতির জন্য দলের সবাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমাদের আরো উন্নতি করতে হবে’— কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে গত সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বলছিলেন সাদ উদ্দিন।
২০১৫ সালের সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপজয়ী দলের সদস্য সাদ উদ্দিন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে সমতার পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। শেষ শট নেয়ার গুরুদায়িত্ব ছিল সাদ উদ্দিনের কাঁধে। আস্থার সঙ্গেই বল জালে জড়িয়ে সিলেটের মাটিতে বিজয় নিশান ওড়ান এ ফরোয়ার্ড। কলকাতায় পরশু ম্যাচের ৪২ মিনিটে তার হেডেই জয়ের পথ দেখছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে অনূর্ধ্ব-২৩ দুেলর হয়ে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে গোল আছে সাদের।
এ ফরোয়ার্ড গোল করার বিষয়টা সামনে না এনে বরং এটাকে নিজেদের দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করলেন, ‘এখন কিন্তু আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নামি। ম্যাচে যার সামনেই সুযোগ আসুক, সে গোলের চেষ্টা করে। ভারতের বিপক্ষে আমি সুযোগ পেয়েছি। তা কাজে লাগাতে পারায় খুশি। এ গোলে দল জিতলে খুশির মাত্রাটা ভিন্নমাত্রায় পৌঁছাত।’