জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডে আধিপত্য করেন বোলাররা। ম্যাচগুলোর শুরুর দিকে বোলারদের দাপট ছিল স্পষ্ট। শেষ দিনে অবশ্য ইমরুল কায়েসের দ্বিশতকে কিছুটা হলেও মুখ রক্ষা হয় ব্যাটসম্যানদের। এছাড়া বেশকিছু অর্ধশত রানের ইনিংসের দেখাও মিলেছে প্রথম রাউন্ডে। তবে সেসব ইনিংস বড় করতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। এখন দ্বিতীয় রাউন্ডে জ্বলে ওঠার চ্যালেঞ্জ থাকবে ব্যাটসম্যানদের। জাতীয় দলের তারকাদের দিকেই চোখ থাকবে সবার।
প্রথম স্তরে পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে খুলনা বিভাগ। আজ শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় রাউন্ডে তাদের প্রতিপক্ষ তিনে থাকা রাজশাহী। দুই দল মুখোমুখি হবে খুলনায়। চট্টগ্রামে মুখোমুখি হবে ঢাকা ও রংপুর বিভাগ। দ্বিতীয় স্তরে শীর্ষে থাকা বরিশালের প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম বিভাগ। দ্বিতীয় স্থানে চট্টগ্রাম। এ দুই দল খেলবে ফতুল্লায়। বগুড়ায় মুখোমুখি হবে ঢাকা মেট্রো ও সিলেট।
প্রথম রাউন্ডে ব্যাট হাতে সবটুকু আলোই নিজের দিকে টেনে নিয়েছিলেন ইমরুল। অপরাজিত ছিলেন ২০২ রানে। তার ইনিংসটি খুলনাকে প্রথম স্তরে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছে। মেট্রোর হয়ে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। রংপুরের ব্যাটসম্যানদের মাঝে টপঅর্ডার ছিল ব্যর্থ। তবে মিডল অর্ডারে তানভীর হায়দার ও সোহরাওয়ার্দী শুভ অর্ধশত রান করেছিলেন। সিলেট বিভাগ ও বরিশাল বিভাগের ম্যাচেও ছিল বোলারদের আধিপত্য। ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্ব বলতে শাহরিয়ার নাফিস ও ফজলে মাহমুদের অর্ধশত। ঢাকা-রাজশাহী ম্যাচেও আধিপত্য ছিল বোলারদের। তবে এর মাঝে ৮৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ঢাকার তাইবুর রহমান। রাজশাহী বিভাগের মুশফিকুর রহিম খেলেন ৭৫ রানের ইনিংস। জহুরুল ইসলাম করেন ৬৪ রান।
ব্যাট হাতে সমর্থকদের নিরাশ করেছেন জাতীয় দলের নিয়মিত তারকা তামিম ইকবাল-মুমিনুল হকরা। বিশ্রাম কাটিয়ে ফিরে আসা তামিম ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ব্যর্থ মুমিনুলও। দ্বিতীয় রাউন্ডে এখন তাদের সামনে চ্যালেঞ্জ থাকবে ভালো কিছু করার। এছাড়া জাতীয় লিগের নিয়মিত পারফরমার তুষার ইমরান-অলক কাপালিদেরও ভালো ফর্মে দেখা যায়নি। ফিরে আসার চ্যালেঞ্জ তাদেরও।