‘বছরে তিনটা চলচ্চিত্রে কাজ করাও তো কম নয়’

ফিচার প্রতিবেদক

নাটক, টেলিফিল্ম, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র কিংবা বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজের সরব উপস্থিতি জানান দেয়ার কথা যেখানে, সেখানে খানিকটা হারিয়েই গেছেন যেন লাক্স সুন্দরী প্রসূন আজাদ। তবে পুরোপুরি হারাননি, কথা যেমন সত্য, তেমনি সত্য হচ্ছে ঠিক আগের মতো নিয়মিতও নন তিনি

লা ক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০১২-এর প্রথম রানারআপ হওয়ার মধ্য দিয়ে মিডিয়ায় পা রাখেন প্রসূন আজাদ। এরপর মোটামুটি দাপিয়েই কাজ করেছেন ছোট পর্দা-বড় পর্দা মিলিয়ে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে প্রসূনভক্তরা তাকে ঠিক আগের মতো পর্দায় দেখছেন না। কেন এমন পরিবর্তন, এসব নিয়ে কথা হয়েছে অভিনেত্রীর সঙ্গে। তার সঙ্গে কথোপকথনে উঠে এসেছে আরো বেশকিছু বিষয়। আজকের আয়োজনে পাঠকের জন্য তার খানিকটা তুলে ধরা হলো:

কেন এই নীরবতা?

সবাইকে সুপারস্টার হতে হবে না। কাউকে কিন্তু খুব সাধারণ হয়েই থাকতে হয়। কেউ চাইলেই অভিনয় করতে পারে কিন্তু তাকে সুপারস্টার হতে হবে, এটাতে আমি বিশ্বাস করি না। কেউ অভিনয় করতে ভালোবাসে মানেই তাকে পর্দায় নিয়মিত হতে হবে, তাকে খুব জনপ্রিয় কেউ হতে হবে, এটার কোনো যৌক্তিকতা নেই আমার কাছে। সব মিলিয়ে আমার মনে হয় সবার জন্য সবকিছু নয়। আমি ঠিক তাদের দলে পড়ে গিয়েছি, যারা অভিনয় করতে ভালোবাসে কিন্তু জনপ্রিয় হতে না বা খুব নিয়মিত হতে না। অনেকটা স্কুলের লাস্ট বেঞ্চার শিক্ষার্থীটির মতো। যে কিনা সবার শেষে স্কুলে আসে, শেষের বেঞ্চটিতে আসন নেয়, ক্লাসের সবার কাছে জনপ্রিয়তাও নেই তার কিন্তু স্কুলে ঠিকই আসে, স্কুলকে ভালোবাসে। আমি ঠিক এমনই অভিনয়ের ব্যাপারে। ভালো লাগে অভিনয় করতে কিন্তু খুব জনপ্রিয় হতে না কিংবা পর্দায় নিয়মিত হতে না। প্রথমদিকে হয়তো বুঝে উঠতে পারতাম না, এখন এটা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি।

এমন পরিবর্তনের কারণ কী?

আমি তো খুব সাধারণ এক মেয়ে ছিলাম। এরপর মিডিয়ায় কাজের সুবাদে কিছু মানুষ আমাকে চেনা শুরু করল। সেটা বেশ উপভোগ্য। কিন্তু এতে যে আমার জীবন খুব বেশি কিছু বদলে গেল তা কিন্তু নয়। আমি ঠিক আগের মতোই আছি, শুধু মানসিক শান্তিটুকু হারিয়ে গিয়েছিল। ফলে যখন বিষয়টা বুঝতে পারলাম তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার সময় এসেছে। ঠিক এটুকুই পরিবর্তন এসেছে। সব কিন্তু আগের মতোই আছে। শুধু আমার মানসিক শান্তিটুকু বেড়ে গেছে।

কাজ কমিয়ে দিয়ে খুব বেশি স্বস্তি মিলেছে কি তবে?

কাজ কমিয়েছি বলেই যে স্বস্তি এসেছে তা না। কিন্তু এটা সত্যি ব্যক্তিগত জীবনে অনেকটাই স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছি আমি। হতে পারে জীবনকে সময় দিচ্ছি বেশি এজন্য।

এবার সম্প্রতি শেষ করা চলচ্চিত্র নিয়ে বলুন।

বছরের শুরুতে কাজ করেছিলাম নুরুল আলম আতিক পরিচালিত মানুষের বাগান চলচ্চিত্রে। এরপর নির্মাতা রাশিদ পলাশের পদ্মপুরাণ ছবিতে কাজ করেছি। এরপর হাতে নিয়েছিলাম সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র পায়রার চিঠিতে। নিশীথ সূর্যের পরিচালনায় চলচ্চিত্রটি বাস্তব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক স্কুলছাত্রের চিঠিকে ঘিরেই এর গল্প। এখানে আমি স্কুলছাত্রটির শিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছি।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন