হিলি স্থলবন্দর

এখনো দেশে আসেনি পুরনো এলসির ৪ হাজার টন পেঁয়াজ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি হিলি

পূজার ছুটি শেষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হলেও এখন পর্যন্ত পুরনো এলসির চার হাজার টন পেঁয়াজ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। এর মধ্যে রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর ভারতের অভ্যন্তরে ট্রাকে আটকে পড়া ৫০০ টন পেঁয়াজ এলসির বিপরীতে সাড়ে তিন হাজার টন পেঁয়াজ রয়েছে। তবে আটকে থাকা এসব পেঁয়াজ এলসির বিপরীতে সরবরাহ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় উত্কণ্ঠায় দিন গুনছেন আমদানিকারকরা।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। কিন্তু এর আগেই ওপারে রফতানি হওয়ার অপেক্ষায় থাকা ট্রাকে আটকে পড়ে প্রায় দেড় হাজার টন পেঁয়াজ। এছাড়া ঘোষণার আগে ২৯ সেপ্টেম্বর সাড়ে তিন হাজার টন পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়। ফলে আটকে পড়া পেঁয়াজ এলসির বিপরীতে পেঁয়াজ সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। অবস্থায় টানা কয়েক দিন দুই দেশের ব্যবসায়ীদের প্রচেষ্টার পর অক্টোবর আটকে থাকা পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয় ভারত সরকার। সময় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক হাজার টনের মতো পেঁয়াজ নিয়ে আসতে পারলেও পূজার ছুটির কারণে বাকিটা আবার আটকে যায়। এছাড়া এলসির বিপরীতে সাড়ে তিন হাজার টন পেঁয়াজ সরবরাহ না করায় এখন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। অবস্থায় দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করে এসব পেঁয়াজ সরবরাহের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবলুর রহমান জানান, অক্টোবর পুরনো এলসির বিপরীতে ৫৭টি ট্রাকে হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি করে ভারত। বাকি ৫০০ টন পেঁয়াজ পূজার বন্ধের পর দেয়ার কথা জানায়। তার নিজেরও ২২ ট্রাক পেঁয়াজ ভারতের অভ্যন্তরে পার্কিং গুদামে নামিয়ে রাখা আছে। সেখান থেকে শ্রমিক দিয়ে পেঁয়াজ বাছাই করে পাঁচ-সাত ট্রাকের মতো পেঁয়াজ পচে নষ্ট হওয়ায় সেগুলো ফেলে দেয়া হয়েছে। বাকি পেঁয়াজগুলো আনার অনুমতি পেলে কিছুটা পুঁজি রক্ষা পাবে বলে জানান ব্যবসায়ী।

এদিকে ১৭ দিন ধরে আমদানি বন্ধ থাকায় রফতানি হওয়া পেঁয়াজের মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় দাম প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। হিলিতে তিনদিন আগে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন সেটি ৭০-৮০ টাকায় পৌঁছেছে। এছাড়া খুচরা পর্যায়েও বেড়েছে পণ্যটির দাম।

হিলিতে পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন পাইকারি ক্রেতা শরিফুল ইসলাম কামাল হোসেন বলেন, কয়েক দিনের ব্যবধানে যেভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে, তাতে করে কেনা বেচা দুটোই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েক দিন আগে ভারত থেকে আমদানীকৃত পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে কিনেছিলাম, এরপর তা কিছুটা বেড়ে ৫০-৫৫ টাকা করে নিয়ে যায়। কিন্তু তিনদিনের ব্যবধানে এখন সেই পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন শহীদ উদ্দিন জানান, ভারত সরকার ২৯ তারিখে বিকালে পেঁয়াজের রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিলেও সেদিনই প্রায় সাড়ে তিন হাজার টনের মতো নতুন পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়। কিন্তু এসব এলসির বিপরীতে পেঁয়াজের সরবরাহ নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণে আমাদের অনেকগুলো টাকা আটকে আছে। সেই সঙ্গে ব্যাংক সুদ গুনতে হচ্ছে। তবে বিষয়ে আমরা ভারতীয় রফতানিকারকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, সাড়ে তিন হাজার টন পেঁয়াজের বিপরীতে খোলা এলসির বিষয়ে ভারতের আদালতে মামলা হয়েছে। মামলার রায়ের পরই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বণিক বার্তাকে

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন