চীনে দুই সপ্তাহের সর্বনিম্নে আকরিক লোহার দাম

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে চীনের বাজারে আকরিক লোহার দাম কমে দুই সপ্তাহের সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। দেশটিতে ব্যবহারিক ধাতুটির চাহিদা আগের তুলনায় কমে গেছে। এছাড়া তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পণ্যটির উত্তোলন বাড়িয়েছে ভ্যালে। ফলে আকরিক লোহার দাম কমেছে। খবর রয়টার্স।

ইস্পাত তৈরির অন্যতম প্রধান উপাদান আকরিক লোহা। চীন বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশ। বিশ্বের অর্ধেকের বেশি ইস্পাত তৈরি হয় দেশটিতে। কারণে চীন আকরিক লোহারও শীর্ষ ক্রেতা। পরিবেশ দূষণ রোধে দেশটির কয়েকটি অঞ্চলের ইস্পাত কারখানার কার্যক্রম সীমিত করে আনা হয়েছে। এতে ইস্পাত তৈরি কমার সঙ্গে সঙ্গে আকরিক লোহার চাহিদাও কমেছে।

দেশটির ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জে ১৫ অক্টোবর কার্যদিবস শেষে প্রতি টন আকরিক লোহা ৬৪৪ ইউয়ান (চীনা মুদ্রা) বা ৯১ ডলার শূন্য সেন্টে কেনাবেচা হয়, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক শতাংশ কম। এদিন সকালের অধিবেশনে পণ্যটির দাম দশমিক শতাংশ কমে যায়, যা ২৬ সেপ্টেম্বরের পর সর্বনিম্ন।

সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষ আকরিক লোহা উত্তোলকারী ব্রাজিলীয় কোম্পানি ভ্যালে জানিয়েছে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আগের প্রান্তিকের তুলনায় ব্যবহারিক ধাতুটির উত্তোলন ৩৫ দশমিক শতাংশ বেড়ে কোটি ৬৭ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। খবর প্রকাশের পর পরই চীনের বাজারে পণ্যটির দাম কমতে শুরু করে। ভ্যালে চীনের বাজারে ধাতব পদার্থ সরবরাহের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা। গত জানুয়ারিতে ভ্যালে বাঁধ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ব্যবহারিক ধাতুটির উত্তোলন কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়। ওই সময় পণ্যটির বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটে দাম বেড়ে পাঁচ বছরের সর্বোচ্চে উঠেছিল।

এদিকে ব্রাজিল অস্ট্রেলিয়া থেকে পণ্যটির বাড়তি সরবরাহ থাকায় চীনের বন্দরগুলোতে আকরিক লোহার মজুদ বেড়ে পাঁচ মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। স্টিলহোমের তথ্য অনুযায়ী, সময়ে দেশটির বন্দরগুলোতে খনিজ পণ্যটির মজুদ দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার টনে।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আকরিক লোহার আমদানি বাড়িয়েছে চীন। গত মাসে পণ্যটির আমদানি বেড়ে দেড় বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চে চলে আসে। নিয়ে ব্যবহারিক ধাতুটির আমদানিতে টানা তিন মাস প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে চীনের।

একই সময়ে চীনের বাজারে ইস্পাত তৈরির অন্যান্য কাঁচামালের দামেও মন্দা ভাব বজায় ছিল। কোকের দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক শতাংশ কমে প্রতি টন হাজার ৮০৯ দশমিক ইউয়ানে কেনাবেচা হয়। কোকিং কোলের দাম দশমিক শতাংশ কমে টনপ্রতি হাজার ২৪২ ইউয়ানে বিক্রি হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন