২০২০ সালের মধ্যে জ্বালানি তেলের বাজার স্থিতিশীল করতে চায় ওপেক

বণিক বার্তা ডেস্ক

জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের মহাসচিব মুহাম্মাদ বারকিনদো জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে তার জোট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বৈশ্বিকভাবে জ্বালানি তেলের সরবরাহ কমানোর মধ্য দিয়ে ২০২০ সালের মধ্যে বাজারে স্থিতিশীলতা চলে আসবে বলেও জানান তিনি। খবর রয়টার্স।

দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি তেলের বাজার নিম্নমুখী রয়েছে। অবস্থায় বাজার চাঙ্গা করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে ওপেক ওপেকবহির্ভূত দেশগুলো নিয়ে গঠিত জোট ওপেক প্লাস, যার নেতৃত্বে রয়েছে সৌদি আরব রাশিয়া। জোটের চুক্তি অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত জ্বালানি তেলের দৈনিক উত্তোলন সম্মিলিতভাবে ১২ লাখ ব্যারেল কমিয়ে দেবে। 

ইন্ডিয়া এনার্জি ফোরামে উপস্থিত হয়ে ওপেক সভাপতি বলেন, ওপেক প্লাস জোটের সদস্যরা চুক্তি অনুযায়ী জ্বালানি তেলের উত্তোলন কমিয়ে আনছে। ফলে বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি পণ্যটির সরবরাহ ১৩৬ শতাংশ কমে যাচ্ছে। এর বিপরীতে বাজারে আধিপত্য দেখাতে থাকা যুক্তরাষ্ট্র উত্তর আমেরিকার দেশগুলোয় শেলের (পাথরের ভাঁজে থাকা জ্বালানি) উত্তোলনও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাচ্ছে। ফলে সরবরাহ সংকটে বাজার চাঙ্গা বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।

২০১৪-১৫ সালে জ্বালানি তেলের মন্দার সময় উত্তোলন কমিয়ে বাজার চাঙ্গা করা হয়েছিল উল্লেখ করে ওপেক সভাপতি জানান, জোটের সদস্য দেশগুলো জ্বালানি তেলের বাজারকে আর মন্দার দিকে যেতে দিতে চায় না। এজন্য তারা প্রয়োজনীয় যা কিছু করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ২০২০ সালের মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন, সেটি নিশ্চিত করবে সদস্য দেশগুলো।

বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে ওপেকের মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে প্রাক্কলন করা হয়েছে, আগামী বছর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দশমিক শতাংশ থেকে শতাংশ দাঁড়াবে। ওপেক মহাসচিব মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে সময় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্দা ভাব বজায় থাকবে।

তবে ওপেক মহাসচিব বাজার চাঙ্গা করার কথা জানালেও সহসা সেটির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা অবস্থায় চলতি বছরের ২৫ এপ্রিলের পর ব্রেন্টের দাম ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমে এসেছে। সময় প্রতি ব্যারেলের দাম উঠে ৭০ ডলার ৬০ সেন্টে, যা বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর শীর্ষ রফতানিকারক দেশ সৌদি আরবের দুটি জ্বালানি তেলের স্থাপনায় ড্রোন হামলার জেরে উত্তোলন হ্রাসের আশঙ্কায়ও দাম কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তবে সেটি স্বল্প সময়ের জন্য। এর পর থেকে আবার নিম্নমুখী রয়েছে বাজার।

সর্বশেষ বুধবার জ্বালানি তেলের মূল্য আরো কমে প্রতি ব্যারেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৫৯ ডলার। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির শ্লথগতির ফলে জ্বালানি চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের মজুদ বৃদ্ধি পাওয়ায় এদিন জ্বালানি তেলের দাম আরো কমেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।  

জ্বালানি তেলের বাজার আদর্শ বেঞ্চমার্কে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১২ সেন্ট কমে ৫৮ ডলার ৬২ সেন্টে স্থিতিশীল হয়। এর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রুডের মূল্য শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ব্যারেল ৫২ দশমিক ৮৩ সেন্টে দাঁড়ায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন