বিদেশে নারী গৃহকর্মী রফতানি

শর্তসাপেক্ষে ৫৮টি রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠাতে পারবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদেশে নারী গৃহকর্মী প্রেরণে নিয়ন্ত্রণ আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এখন থেকে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো ঢালাওভাবে বিদেশে নারী গৃহকর্মী পাঠাতে পারবে না। শর্তসাপেক্ষে কেবল ৫৮টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমেই নারী কর্মীরা বিদেশে যেতে পারবেন। আর এজন্য অভিবাসন ব্যয় বাবদ নারী কর্মীদের কাছ থেকে কোনো অর্থও নিতে পারবে না রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো।

বিদেশে বাংলাদেশী নারী গৃহকর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে এমন বিভিন্ন নিয়ম বেঁধে দিয়ে অক্টোবর একটি সরকারি আদেশ জারি করে প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বিদেশে নারী গৃহকর্মী পাঠাতে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদনপ্রাপ্ত ৫৮টি রিক্রুটিং এজেন্সির একটি তালিকা দেয়া হয়েছে। আর এসব এজেন্সির ওপর আরোপিত শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে নারী গৃহকর্মী পাঠাতে অনুমতিপ্রাপ্ত প্রতিটি রিক্রুটিং এজেন্সিকে নিরাপত্তা জামানত বাবদ ১৫ লাখ টাকা এফডিআর আকারে বিএমইটির মহাপরিচালকের অনুকূলে লিয়েনমার্ক করে জমা দিতে হবে। কেবল নিরাপত্তা জামানত বাবদ ১৫ লাখ টাকা জমা দেয়ার পরই সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি বিদেশে নারী গৃহকর্মী প্রেরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে। গৃহকর্মীর কাছ থেকে অভিবাসন ব্যয় বাবদ কোনো অর্থ গ্রহণ করতে পারবে না রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো।

বাংলাদেশী নারী কর্মীদের প্রবাসযাত্রার শুরু নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে। এরপর ২০১৪ সাল থেকে বড় পরিসরে সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে বাংলাদেশী নারী কর্মী রফতানি বাড়তে থাকে। এসব নারীর প্রত্যেকেই আরেকটু ভালো থাকার আশায় দেশটিতে গেলেও মানসিক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে তাদের অনেককেই। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই বিদেশে নারী গৃহকর্মী রফতানিতে নিয়ন্ত্রণ আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, এজেন্সির গাফিলতির কারণে যাতে কোনো নারী গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার না হয়, সেজন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নারী গৃহকর্মীদের অভিবাসন ব্যয়ও শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা হয়েছে এর মাধ্যমে।

জনশক্তি কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) সূত্রে জানা গেছে, গত বছর বাংলাদেশ থেকে বিদেশে নারী শ্রমিক রফতানি হয়েছে মোট লাখ

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন