জলবায়ু পরিবর্তন ও পুষ্টিহীনতার কারণে বাংলাদেশে স্কুলগামী শিশুদের ১৮ শতাংশ রোগা-পাতলা এবং ৯ শতাংশ স্থূলকায়। স্কুলগামী শিশুদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জাতিসংঘের মা ও শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, স্কুলগামী রোগা-পাতলা শিশুহারের দিক থেকে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এ তালিকায় বাংলাদেশের পর আছে আফগানিস্তানের নাম। দেশটিতে স্কুলগামী শিশুদের ১৭ শতাংশ রোগা-পাতলা। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভুটান। দেশটিতে স্কুলগামী শিশুদের ১৬ শতাংশই রোগা-পাতলা।
এদিকে স্কুলগামী স্থূলকায় শিশুদের তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছে কুক দ্বীপপুঞ্জ। দেশটিতে স্কুলগামী স্থূলকায় শিশুর হার ৬৩ শতাংশ। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ হার ৯ শতাংশ।
ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহারের তালিকায় শীর্ষ দশে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে এ বয়সের ৮৯ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারত। দেশটিতে ২০১৮ সালে ৮ লাখ ৮২ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
২০১৮ সালের তথ্য নিয়ে করা ইউনিসেফের এ প্রতিবেদনে ভারতের পরই ৮ লাখ ৬৬ হাজার শিশুমৃত্যুর হার নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া। এছাড়া ৪ লাখ ৯ হাজার শিশুমৃত্যুর হার নিয়ে পাকিস্তান তৃতীয়, ২ লাখ ৯৬ হাজার শিশুমৃত্যুর হার নিয়ে কঙ্গো চতুর্থ, ১ লাখ ৯১ হাজার শিশুমৃত্যুর হার নিয়ে ইথিওপিয়া পঞ্চম, ১ লাখ ৪৫ হাজার শিশুমৃত্যুর হার নিয়ে চীন ষষ্ঠ, ১ লাখ ২১ হাজার শিশুমৃত্যুর হার নিয়ে ইন্দোনেশিয়া সপ্তম, ১ লাখ ৭ হাজার শিশুমৃত্যুর হার নিয়ে তানজানিয়া অষ্টম এবং ৯৪ হাজার শিশুমৃত্যুর হার নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে অ্যাঙ্গোলা।
তালিকায় সবচেয়ে তুলনামূলক নিরাপদ স্থানে রয়েছে জাপান ও নিকারাগুয়া। দেশ দুটিতে ২০১৮ সালে দুই হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আর শ্রীলংকায় হয়েছে তিন হাজার। অন্যদিকে শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর পরই মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ সুদানে। দেশটিতে ২০১৮ সালে ২ লাখ ৩৩ হাজার শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর পরই মৃত্যুবরণ করে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ