খুলনা ও হবিগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোরে এসব ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—
খুলনা: সুন্দরবনের কয়রা এলাকায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সকালে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনীমুখার আমিনুর (৩৭), খুলনার কয়রার মহেশ্বরীপুর গ্রামের রফিক (৩৫), ফুলতলার আক্তারুল (৩৪) ও বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের মনিশ সাহা (৩৪)। নিহতরা সবাই বনদস্যু বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-৬-এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ নুরুস সালেহীন ইউসুফ জানান, সকালে সুন্দরবনের কয়রায় র্যাব-৬-এর সঙ্গে বনদস্যু আমিনুর বাহিনীর ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। এতে বাহিনীর প্রধান আমিনুর ও সেকেন্ড ইন কমান্ড রফিকসহ চারজন নিহত হন। এ সময় র্যাব-৬-এর দুই সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে র্যাব-৬-এর সদস্যরা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছেন।
র্যাব-৬-এর স্পেশাল কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি সুন্দরবনের শিবসা নদীর কয়রা খাল এলাকায় নৌকায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমিনুর বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। এ খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা গতকাল ভোরে ওই এলাকায় যান এবং সেখানে সতর্ক অবস্থান নেন। একপর্যায়ে আমিনুর বাহিনীকে শনাক্ত করার পর র্যাব সদস্যরা তাদের ধাওয়া করেন। এ সময় দস্যুরা র্যাব সদস্যদের উদ্দেশে গুলি ছুড়লে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়েন। একপর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটলে সেখানে চারজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের উদ্ধার করে কয়রার হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক সবাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
হবিগঞ্জ: শায়েস্তাগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুদরত আলী (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে পুরাসুন্ধা বাঁশবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কুদরত সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের দরিয়াপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। তিনি ডাকাত দলের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন, কুদরত আলীসহ ১০-১২ জনের একদল ডাকাত পুরাসুন্ধা বাঁশবাগান এলাকায় বসে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডিবি ও শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ যৌথভাবে ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ডাকাত দল পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান কুদরত আলী। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পাইপগান, দুটি রামদা ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। বন্দুকযুদ্ধে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি জানান, নিহত কুদরতের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ ও সিলেটের বিভিন্ন থানায় ১৪টি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
