ভারতের বিপক্ষে আবারো তীরে এসে তরী ডোবাল বাংলাদেশ। এ যাত্রায় ৮৯ মিনিটে গোল হজম করে স্বাগতিকদের সঙ্গে ড্র করল লাল-সবুজরা। ম্যাচের স্কোরলাইন ১-১।
২০১৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও পরের বছর ফিফা প্রীতি ম্যাচে যোগ করা সময়ের গোলে ভারতের সঙ্গে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। গতকাল সাদ উদ্দিনের গোলে যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গন স্তব্ধ করে দিয়েছিল লাল-সবুজরা। শেষদিকে আদিল খান ভারতকে সমতায় ফেরান।
কিক-অফের পর ২০ সেকেন্ডেই ভারতের দুর্গ কাঁপিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সোহেল রানার ফরোয়ার্ড পাস ধরা ইব্রাহিম বক্সে প্রবেশ করলেও কর্নারের বিনিময়ে এ বিপদ সামলায় ভারতীয় রক্ষণ। চতুর্থ মিনিটে সুনীল ছেত্রীর দারুণ এক ভলি প্রতিহত করেন গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম।
পরিষ্কার সুযোগ এসেছিল ৩১ মিনিটে। ডানদিকে বল ধরা বিপলু আহমেদ গোলমুখে নাবিব নেওয়াজ জীবনের উদ্দেশে বল ঠেলেন। বাংলাদেশী ফরোয়ার্ড বল ধরার আগেই কর্নারের বিনিময়ে তা ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার আদিল খান। ৩৪ মিনিটে ডানদিক থেকে নেয়া লম্বা থ্রো-ইন থেকে মানভির সিংয়ের ব্যাকহেড গোলে প্রবেশের মুহূর্তে দারুণ দক্ষতায় ফিস্ট করেন আশরাফুল ইসলাম।
৪২ মিনিটে সল্টলেক স্টেডিয়াম স্তব্ধ করে দেন সাদ উদ্দিন। বামদিক থেকে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার বাঁকানো ফ্রি-কিকে গোলরক্ষক গুরপ্রিত সিং বলের ফ্লাইট মিস করেন; পেছনে থাকা সাদ উদ্দিন হেডে বল জালে পাঠান (১-০)। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম গোলের দেখা পেল বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ১-০ ও কাতারের কাছে ২-০ গোলে হারে লাল-সবুজরা।
ফিফা র্যাংকিংয়ে ৮৩ ধাপ এগিয়ে থাকা ভারত প্রথমার্ধে দাপটের সঙ্গে খেললেও সুনীলের ভলি মানভিরের হেড ছাড়া পরিষ্কার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি স্বাগতিকরা। এ সময় বাংলাদেশ রক্ষণে মনোযোগী থাকলেও সুযোগ বুঝে দ্রুত আক্রমণে গেছে। এ অর্ধে বাংলাদেশের বড় কৃতিত্ব সুনীল ছেত্রী ও উদান্ত সিংকে নিজেদের মতো খেলতে না দেয়া।
বিরতির পর গোলের নেশায় মরিয়া ভারত গতি বাড়ায়। ৫১ মিনিটে দারুণ পাল্টা আক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সহজ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে বল ধরা ইব্রাহিম ক্ষিপ্রগতিতে ভারতের সীমানায় প্রবেশ করে নাবিব নেওয়াজ জীবনকে থ্রু পাস বাড়ান। আবাহনী ফরোয়ার্ড সামনে থাকা গোলরক্ষক গুরপ্রিত সিংকে পরাস্ত করতে পারেননি, বল তার পায়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন।
৫৫ মিনিটে ভাগ্যের কল্যাণে বেঁচে গেছে ভারত; নইলে ম্যাচটা ওখানেই শেষ করে দিতে পারত বাংলাদেশ। ডানদিকে বল ধরে বডি ডজে জায়গা করে নিয়ে গোলে শট নিয়েছিলেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম। গোলরক্ষক গুরপ্রিত সিং পরাস্ত হন, কিন্তু বল ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
৬৯ মিনিটে অনিরুদ্ধ থাপার কর্নারে আনাসের হেড সমতার পথ খুলে নিয়েছিল ভারত। লাফিয়ে উঠে হেডে গোললাইন থেকে বল ক্রিয়ার করেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম। ৭২ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটা পেয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। আগুয়ান গোলরক্ষক গুরপ্রিত সিংয়ের ওপর দিয়ে ফাঁকা পোস্টে চিপ করেছিলেন নাবিব নেওয়াজ জীবন। টিভি রিপ্লে দেখাচ্ছিল আদিল খান বল ক্লিয়ার করার আগেই তা গোললাইন অতিক্রম করে। কিন্তু ইয়েমেনের রেফারি মাসুদ তোফায়েলির দৃষ্টি এড়িয়ে যায়।
শেষদিকে লিড ধরে রাখতে রক্ষণে মনোযোগ না দিয়ে বরং দ্রুতগতির পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান বড় করার দিকে দৃষ্টি রাখেন জেমি ডে। নাবিব নেওয়াজ জীবনকে তুলে মাহবুবুর রহমান সুফিল ও মোহাম্মদ ইব্রাহিমের জায়গায় রবিউল হাসানকে পাঠান এ ইংলিশ কোচ।
৮৪ মিনিটে ডানদিক থেকে সাদ উদ্দিনের ক্রসে বক্সের মধ্যে ফাঁকায় থাকা মাহবুবুর রহমান সুফিল ঠিকমতো বল রিসিভ করতে না পারায় আরেকটি সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। ৮৯ মিনিটে ব্রেন্ডনের কর্নার থেকে আদিল খান?