আইপিওর শেয়ারের দর নিয়ন্ত্রণে লক ফ্রি করার প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরুর দিন থেকেই অস্বাভাবিক হারে দর বাড়তে দেখা যায়। শুরুর দিনই ১০ টাকার শেয়ার ৫০-৬০ টাকা হয়ে যাওয়ার উদাহরণ রয়েছে। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারদরে এ অস্বাভাবিক উত্থান ঠেকাতে লেনদেন শুরুর দিন থেকেই উদ্যোক্তা ও পরিচালক বাদে অন্য সব শেয়ার লক ফ্রি করে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে শীর্ষ ব্রোকারদের বৈঠকে এ প্রস্তাব দেয়া হয়। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) ডিএসইর মাধ্যমে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে এ প্রস্তাব পাঠাবে বলে জানা গেছে।

গতকালের বৈঠকে ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন ও শরীফ আতাউর রহমান, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল মতিন পাটোয়ারি, সিএসইর পরিচালক মো. ছায়েদুর রহমান, ডিবিএর প্রেসিডেন্ট মো. শাকিল রিজভীসহ শীর্ষ ব্রোকাররা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে পুঁজিবাজারে সার্বিক সুশাসন, তারল্য সংকট, বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা, মানহীন আইপিও, ডিএসইর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পুঁজিবাজারে সুশাসনের ঘাটতি থাকার বিষয়টি তুলে ধরে ব্রোকার সব ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য ডিএসই ও বিএসইসির কাছ থেকে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তারল্য সংকটের কারণে বাজারে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ আসছে না। অন্যদিকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা বিরাজ করছে। ফলে বাজারে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনার জন্য আইসিবির পাশাপাশি অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। পুঁজিবাজারে গত ১০ বছরে তেমন কোনো ভালো কোম্পানির আইপিও আসেনি বলে ব্রোকাররা অভিযোগ করেন। ফলে তাদের ঘুরেফিরে গুটিকয়েক কোম্পানিতে বিনিয়োগের জন্য গ্রাহকদের পরামর্শ দিতে হয় বলে জানান।

গতকালের বৈঠকে ডিএসইর ভূমিকা নিয়ে ব্রোকাররা সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন। এখন পর্যন্ত এমডি নিয়োগ না হওয়ার কারণে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এতেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জ নিয়ে আস্থাহীনতা তৈরি হচ্ছে। তাছাড়া অনেক কোম্পানির শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বাড়লেও ডিএসইর সার্ভিল্যান্সের ভূমিকা এক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ বলে ব্রোকাররা অভিযোগ করেন। এছাড়া কোম্পানির পক্ষ থেকে যেসব ডিসক্লোজার দেয়া হয়, সেগুলো ঠিকমতো ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় বলেও অনেক ব্রোকার অভিযোগ করেন। পাশাপাশি এখনো লেনদেন চলাকালে স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে এটি বন্ধ করার দাবি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন