‘মনপুরা’র মতো চলচ্চিত্রে কাজের প্রস্তাব লুফে নেব’

ফিচার প্রতিবেদক

বছর দুই আগে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন ফারিয়া শাহরিন। মার্কেটিং বিষয়ের ওপর পড়াশোনা শেষে সবে দেশে ফিরেছেন। তাই ব্যস্ততা গায়ে মাখেননি সেভাবে। যদিও বেশকিছু স্ক্রিপ্ট জমা আছে ফারিয়ার হাতে, সেসবই নেড়েচেড়ে দেখছেন, পড়ছেন। ভালো লাগলে তবেই নেমে পড়বেন কাজে

মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকেরকথা দিলামবিজ্ঞাপনটির কথা কমবেশি সবারই মনে আছে। বিজ্ঞাপনের মূল আকর্ষণ মিষ্টি হাসির ফারিয়া শাহরিন বিনোদনজগতে পা রাখেন ২০০৭ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হওয়ার মাধ্যমে। তবে ঝলমলে জগতে তার শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হয়েছে কথা দিলাম বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই।

বছর দুই আগে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন ফারিয়া। মার্কেটিং বিষয়ের ওপর পড়াশোনা শেষে সবে দেশে ফিরেছেন। তাই ব্যস্ততা গায়ে মাখেননি সেভাবে। যদিও এর মধ্যেই একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজ সেরেছেন। তবে আপাতত আর কোনো কাজ নেই। বেশকিছু স্ক্রিপ্ট জমা আছে ফারিয়ার হাতে, সেসবই নেড়েচেড়ে দেখছেন, পড়ছেন। ভালো লাগলে তবেই নেমে পড়বেন কাজে। অন্যদিকে যেহেতু দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিলেন, তাই ফিরে এসে পরিবারকে সময় দিচ্ছেন খুব বেশি। ফেরার পর প্রথম বিজ্ঞাপনের কাজে টানা ১৩ ঘণ্টা শুটিং করেছেন।

তার কাছেই জানা যায়, এখন নাকি তিনি দেশেই থাকবেন। নিয়মিত কাজ করবেন বলেও জানান। একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংও করেছেন সম্প্রতি। বিজ্ঞাপন নির্মাতা রানা মাসুদের পরিচালনায় একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কুক ওয়্যারের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। ফারিয়া জানান এটি একটি স্টোরি বেইজড বিজ্ঞাপন। যার গল্প ফারিয়াকে কেন্দ্র করেই।

বিজ্ঞাপনটিতে কাজ করা প্রসঙ্গে ফারিয়া শাহরীন বলেন, ‘অভিনয়ের চেয়ে বিজ্ঞাপনে কাজ করতেই  বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমাকে কিন্তু দর্শক বিজ্ঞাপনে কাজের মধ্য দিয়েই বেশি চিনেছেন, জেনেছেন। তাছাড়া বিজ্ঞাপনে কাজ করলে দর্শকের কাছে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছানো যায়। এর আগে রানা মাসুদ ভাইয়ের নির্দেশনায় মীনা বাজারের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছিলাম। যে কারণে তার কাজের প্রতি আমার আস্থা আছে। তাই আবারো তার নির্দেশনায় কাজ করেছি। সবকিছু মিলিয়ে খুবই ভালো একটি কাজ হয়েছে। বিজ্ঞাপনটি নিয়ে আমি আশাবাদী।

দীর্ঘ সময় ধরে মিডিয়ায় কাজ করলেও ফারিয়ার কাজের তালিকা খুব বড় না। সেসব নিয়ে আক্ষেপ নেই তার একটুও। বরং ভালো এবং দর্শকের মনে জায়গা ধরে রাখতে পারে, এমন কাজেই আগ্রহ বেশি তার। তার মতে, খুব অল্প হোক তবে ভালো কাজ করে যেতে চাই। যাতে দর্শক ফারিয়াকে চেনে তার কাজ দিয়েই।

বেশকিছু নাটকের স্ক্রিপ্ট রয়েছে ফারিয়ার হাতে। সেসবের মধ্যে খুব ভালো লাগা কাজ করবে যে স্ক্রিপ্টগুলো পড়ে, সেসব নিয়ে হয়তো ভেবে দেখবেন। তবে এখনো বিজ্ঞাপনই টানে তাকে। তিনি বলেন, খুব অল্প সময় এবং নাটকের তুলনায় ভালো পেমেন্ট; দুই কারণে বিজ্ঞাপনে কাজ করতে ভালো লাগে। তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম চলচ্চিত্রে কাজের ব্যাপারে কিছু ভাবছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সাপলুডু চলচ্চিত্রটি দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে। অন্যদিকে মনপুরা চলচ্চিত্রটি কত বছর আগের অথচ এখনো দেখলে মনে দাগ কাটে। চলচ্চিত্রগুলোর মতো কোনো চলচ্চিত্রে কাজের প্রস্তাব লুফে নেব। তার মতে, পরিবারের সবাইকে নিয়ে যেমন চলচ্চিত্র দেখা যায়, ধরনের চলচ্চিত্রে কাজের বিষয়ে আপত্তি নেই।বলে রাখা ভালো, ফারিয়া অভিনীত একমাত্র সিনেমা সামিয়া জামান পরিচালিতআকাশ কতো দূরে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন