মুখের ত্বকের ব্যাপারে কম-বেশি সবাই বেশ সচেতন হলেও হাত-পায়ের ত্বকের বিষয়ে ঠিক ততটাই উদাসীন। ফলে খুব অল্প সময়েই এখানের ত্বক প্রাণ হারায়, সেই সঙ্গে সৌন্দর্যও বিলীন হতে থাকে। সময়ের অভাবে নিয়মিত পার্লারে যেতে পারেন না যারা, তারা কিন্তু ছুটির দিনে ঘরে বসেই সেরে নিতে পারেন যত্ন-আত্তির কাজটি। এজন্য ঘরে থাকা উপাদানই যথেষ্ট। জেনে নিন সে সম্পর্কেই—
ময়েশ্চারাইজার মাখুন নিয়মিত
হাত-পায়ের ত্বক শুষ্ক হলে মলিন লাগে দেখতে। এর মূল কারণই হচ্ছে যথেষ্ট ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করছেন না। হ্যান্ড ক্রিম অথবা ভারী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। বিশেষ করে প্রতিবার হাত পা ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার মেখে নিতে ভুলবেন না।
এক্সফোলিয়েশন জরুরি
মুখের মতো হাত ও পায়ের ত্বকেও মৃত কোষ জমা হয় এবং তা নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করা দরকার। কোমল স্ক্রাব দিয়ে সব মৃত কোষ তুলে ফেলুন। সমপরিমাণ অলিভ অয়েল আর চিনির দানা মিশিয়ে বানিয়ে নিন স্ক্রাব। এটি হাতে নিয়ে ভালো করে মিনিটপাঁচেক ঘষুন। তারপর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলবেন।
নজর রাখুন ডিটারজেন্টের দিকে
বাসন মাজা, কাপড় কাচার মতো কাজে যে ডিটারজেন্ট আপনি ব্যবহার করেন, তা আপনার হাত দারুণ শুকনো করে দিতে পারে। তাই খুব কড়া ডিটারজেন্ট বা ডিশওয়াশ ব্যবহার করবেন না। কোমল, হার্বাল ফর্মুলার পণ্য বেছে নিন, যা আপনার হাত নরম রাখবে।
নখের প্রতি মনোযোগ দিন
নখ ভেঙে যাওয়ার অর্থ হলো আপনি হাতের ততটা যত্ন করছেন না। নখ ভেঙে যাওয়া আটকাতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নখ কেটে ফাইল করে রাখুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে রোজ নখ আর আঙুলে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে নিন। তাতে কিউটিকল নরম থাকবে, নখও শক্ত হয়ে উঠবে।
ম্যানিকিওর করুন বাড়িতেই
নিয়মিত পুরনো নেল পলিশ তুলে নখ ফাইল করুন। হালকা গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে তাতে খানিকক্ষণ আঙুল ডুবিয়ে রাখলে নখ নরম হয়ে যাবে, ফাইল করতেও সুবিধা হবে। হাত মুছে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। তারপর পছন্দসই নেল পলিশে রাঙিয়ে নিন আপনার নখ। সময় নিয়ে ভাবছেন যারা, তারা জেনে রাখুন পুরো ব্যাপারটা শেষ করতে লাগবে বড়জোর আধা ঘণ্টা। নিজের যত্নে এ আধা ঘণ্টা সময় তো ব্যয় করাই যায়।