ঘরের বাতাসকে বিশুদ্ধ করে তোলে যেসব উদ্ভিদ

ফিচার ডেস্ক

আমাদের যান্ত্রিক শহরে গাড়ি-কলকারখানার সংখ্যা যেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে বাতাসে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের পরিমাণ, ঘটছে পরিবেশ দূষণ। তবে বিষাক্ত রাসায়নিক যে শুধু রাস্তাঘাটেই রয়েছে, তা কিন্তু নয়। এমন অনেক ভয়াবহ রাসায়নিক পদার্থ আমাদের বাড়িতেও রয়েছে, যা সম্পর্কে ধারণাও নেই। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে খুব সহজেই আপনি ঘরবাড়ির বাতাসকে বিশুদ্ধ করে তুলতে পারেন। এজন্য আপনাকে বাসগৃহে নির্দিষ্ট কিছু গাছ রাখতে হবে। প্রাকৃতিক গুণাগুণ সমৃদ্ধ এসব গাছ বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে ঘরে বাতাসকে বিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে। উদ্ভিদ ছাড়া ঘরের সাজসজ্জাতেও যেন পরিপূর্ণতা আসে না।

এগুলো কেবল বাতাসকেই বিশুদ্ধ করে না, বরং ঘরকে আরো বেশি স্বাচ্ছন্দ্যময় বিশ্রামের আবেশ তৈরি করতেও সহায়তা করে। পাশাপাশি উদ্ভিদগুলো স্ট্রেস লেভেল কমায় এবং চিন্তামুক্ত করে। ২০০৮ সালে করা গবেষণায় ডাচ গবেষকরা এমনটাই দেখতে পেয়েছেন। এজন্য আমরা কয়েকটি সুন্দর উদ্ভিদ চিহ্নিত করেছি, যা যত্ন নেয়া সহজ এবং বাতাসের বিষাক্ত পদার্থগুলো পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে কার্যকর। এমনকি এগুলোর নাসার অনুমোদনের স্ট্যাম্প রয়েছে। আপনার ঘর বা অফিসে উদ্ভিদগুলো যুক্ত করতে পারেন। আজ এমনই কিছু উদ্ভিদ সম্পর্কে আপনাদের জানাব।

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী

রূপচর্চা শুরু করে অ্যালোভেরা ঔষধি গুণাগুণ সমৃদ্ধও। ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করতেও অ্যালোভেরা কাজ করে। এটি বাতাসে থাকা বেনজিন ফরমালডিহাইড দূর করতে খুব কার্যকরী। পাশাপাশি যখন বাতাসে থাকা ক্ষতিকর কেমিক্যালের পরিমাণ খুব বেশি বেড়ে যায়, তখন এর পাতায় ছোট ছোট বাদামি দাগ পড়ে। এর মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার ঘরে থাকা বিষাক্ত পদার্থের মাত্রা বুঝে নিতে পারবেন। অ্যালোভেরা পর্যাপ্ত সূর্যের আলোয় সবচেয়ে ভালোমতো বেড়ে ওঠে।

রাবার গাছ

রাবার গাছ ঘর থেকে টক্সিন নির্মূল এবং বাতাসকে বিশুদ্ধ করে। এটি কার্বন মনো-অক্সাইড, ট্রাই ক্লোরো ইথিলিন ইত্যাদি দূর করতে কার্যকরী। রাবার গাছ বায়ু পরিষ্কারের পাশাপাশি সবচেয়ে সহজে বর্ধনযোগ্য উদ্ভিদগুলোর একটি। গাছ খুব কম আলো শীতল আবহাওয়াতেও বেড়ে উঠতে পারে। গাছের সাইজ ঠিক রাখার জন্য কয়েক মাস পর পর এর ডালপালা ছেঁটে দিতে পারেন এবং গাছের পাতা ঝকঝকে রাখতে মাঝেমধ্যে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে পারেন।

পিস লিলি

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন