বাণিজ্য পারফরম্যান্সে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এগিয়ে ভিয়েতনাম

বণিক বার্তা ডেস্ক

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের করা একটি তালিকা অনুযায়ী, অর্থনৈতিক পারফরম্যান্সের দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভিয়েতনাম। ব্যাংকটি তালিকায় থাকা দেশগুলোকে বৈশ্বিক বাণিজ্যেরআগামী দিনের উদীয়মান তারকাবলে আখ্যায়িত করেছে। দেশগুলোর করা উন্নতি এদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা পর্যালোচনা করে তালিকা করা হয়েছে। খবর ভয়েজ অব আমেরিকা।

ব্যাংকটিরট্রেড২০ ইনডেক্সেঠাঁই পাওয়া ২০টি দেশের মধ্যে ভিয়েতনামের অবস্থান , তবে তালিকায় থাকা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে। দেশটির পেছনে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া থাইল্যান্ড।

ব্যাংকটি বলছে, ভিয়েতনামের এগিয়ে যাওয়ার পেছনে যেসব বিষয় কাজ করেছে তার অন্যতম হলো, অবকাঠামো খাতে দারুণ উন্নতি, অনেক দেশের সঙ্গে ব্যবসা বৃদ্ধি, মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সুযোগ বেশ ভালোভাবে কাজে লাগানো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ভিয়েতনাম, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী নিরুক্ত সাপরু জানিয়েছেন ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক উন্মুক্ততা ইন্টিগ্রেশন সুবিধা বয়ে এনেছে। তিনি বলেন, দেশটি ওই অঞ্চলের সবচেয়ে দ্রুত এগিয়ে যাওয়া অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। উন্মুক্ত অর্থনীতির মধ্য দিয়ে একটি দেশ কী পরিমাণ লাভবান হতে পারে, তার উত্কৃষ্ট উদাহরণ ভিয়েতনাম।

ওই অঞ্চল বাকি বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক দুর্দশায় পড়েছে, তখন ভিয়েতনাম এগিয়ে যাচ্ছে। ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধির হার বছরে প্রায় শতাংশ, যা বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির প্রায় দ্বিগুণ। অন্যদিকে প্রতিবেশী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে বিভিন্ন দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।

মালয়েশিয়ার শ্রমিকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন, কারণ শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর ক্ষমতা কমছে। অন্যদিকে নিকট ভবিষ্যতে কর রাজস্ব সংকুচিত হবে এমন আশঙ্কায় দেশটির সরকার বাজেট ঘাটতি বাড়িয়েছে। বাণিজ্যযুদ্ধসংশ্লিষ্ট শ্লথগতি ফিলিপাইনের রফতানি সংকুচিত করছে। অন্যদিকে রফতানি পণ্যের মূল্যও হ্রাস পেয়েছে। এদিকে সিঙ্গাপুরের প্রবৃদ্ধিও খুব একটা বাড়বে না বলে বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস করেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন-চীন বাণিজ্য বিবাদ, ব্রেক্সিট, চীনের শ্লথগতি হংকংয়ে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে।

এসব ঝুঁকি ভিয়েতনামের জন্যও দুশ্চিন্তার কারণ। বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে আরো শ্লথগতি নেমে এলে তা দেশটির ক্ষতি করতে পারে। এছাড়া বয়স বেড়ে যাওয়া জনসংখ্যা, শ্রমিক সংকট, অনেক দেশের তুলনায় নিম্ন উৎপাদনশীলতা দক্ষতা এবং ভূরাজনৈতিক বিবাদ দেশটির উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন