পদ্মা সেতু রেল সংযোগ

চূড়ান্ত হয়নি নকশা, প্রয়োজন আরো জমি অধিগ্রহণ

শামীম রাহমান

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরুর এক বছর পার হতে চলেছে। কিন্তু নকশাই চূড়ান্ত হয়নি এখনো। দেখা দিয়েছে আরো জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা। সমস্যা রয়েছে ভূগর্ভস্থ পরিষেবা স্থানান্তর নিয়েও। সব মিলিয়ে জটিলতায় পড়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু রেল সংযোগের নির্মাণকাজ।

মুন্সীগঞ্জের মাওয়া শরীয়তপুরের জাজিরার ওপর দিয়ে নির্মিত হচ্ছে দেশের দীর্ঘতম পদ্মা বহুমুখী সেতু। সরকারের সেতু বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। মোটরযান ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ নির্মাণ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুনে চালু হবে পদ্মা সেতু। অন্যদিকে রেল সংযোগ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। যদিও বিভিন্ন সমস্যায় প্রকল্পের কাজে কাঙ্ক্ষিত গতি আসছে না।

গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা। এতে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন প্রকল্প কর্মকর্তারা।

নকশা জটিলতা: পিইসি সভার একটি সূত্র বণিক বার্তাকে জানিয়েছে, রেল সংযোগ স্থাপনের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে নকশা জটিলতা। সেতুর সঙ্গে রেলপথের সংযোগ ঘটানোর জন্য সেতুর দুই পাড়ে নির্মাণ করতে হবে দীর্ঘ ভায়াডাক্ট (উড়ালপথ) ভায়াডাক্টের পাইল নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৫টি ট্রায়াল পাইল করা হয়েছে, যার মধ্যে সন্তোষজনক ছিল মাত্র চারটি।

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উড়ালপথটি নির্মাণ করা হবে পিয়ারের ওপর। এই পিয়ারগুলোকে শক্ত কাঠামো দেবে একাধিক পাইল। মূল সেতুর প্রতিটি পিয়ারে ছয়-সাতটি করে পাইল করা হয়েছে। প্রতিটি পাইল নদীর তলদেশে ৩০-৫০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত স্থাপন করা হয়েছে। উড়ালপথের ভায়াডাক্টের জন্যও কমবেশি একই গভীরতায় পিয়ারের পাইল করতে হবে। তবে নদীর তলদেশের মাটির গঠনে ভিন্নতা থাকায় এখনো সেগুলোর নকশা চূড়ান্ত হয়নি।

প্রকল্প কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে সমস্যাটি সমাধানের জন্য প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ দলের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞরাও কাজ করছেন। নম্বর ভায়াডাক্টে পাইলের সমস্যা সমাধানের জন্য ইতালির প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান এইকমেরও (এআইসিওএম) শরণাপন্ন হয়েছে রেলওয়ে। প্রতিষ্ঠানটি পদ্মা

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন