সামুদ্রিক সম্পদ থেকে অর্থনৈতিক সুুফল পেতে চায় বাংলাদেশ। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের পর এ নিয়ে ব্যাপক আশার সঞ্চার হয়। আর সে লক্ষ্যে ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতিতে জোর দেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহারের জন্য উপকূলে সিউইড বা সামুদ্রিক শৈবাল চাষ ও সিউইডজাত পণ্য উৎপাদন গবেষণায় প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এবং বর্তমানে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে। তবে এ প্রকল্পে কর্মকর্তা তিনজন থাকলেও প্রশিক্ষণে বিদেশ যাচ্ছেন ১২ জন। প্রকল্পের সারসংক্ষেপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রকল্পের সারসংক্ষেপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অর্থনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন সামুদ্রিক শৈবাল প্রজাতির জরিপ ও শনাক্তকরণ, উপযুক্ত চাষ এলাকা নির্বাচন ও বিভিন্ন প্রজাতির শৈবালের টেকসই চাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন এবং উপকূলে প্রাপ্ত ও উৎপাদিত শৈবালের বাণিজ্যিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ‘বাংলাদেশ উপকূলীয় সিউইড চাষ এবং সিউইডজাত পণ্য উৎপাদন গবেষণা’ শীর্ষক প্রকল্প নেয়া হয়। ১৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকার এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। এটি বাস্তবায়নের জন্য কক্সবাজার, মহেশখালী, উখিয়া ও টেকনাফ, পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও কুয়াকাটাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, এ প্রকল্পে মোট জনবল চারজন ধরা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারী। তবে এখানে মাত্র একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যিনি প্রকল্প পরিচালক। প্রকল্পে মোট কর্মকর্তার সংখ্যা তিনজন হলেও প্রশিক্ষণে বিদেশ যাচ্ছেন ১২ জন। এতে দেড় কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এরই মধ্যে ছয়জন ফিলিপাইন সফর করেছেন। সামনে প্রশিক্ষণে কোরিয়া, জাপান ও ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া প্রকল্পটির তিনজন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারীর জন্য একটি জিপ, তিনটি মোটরসাইকেল ও চারটি বাইসাইকেলের কথা বলা হয়েছে। আর এতে জ্বালানি ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। এর বাইরেও ভ্রমণ ভাতা বাবদ ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রকল্পে থাকা একমাত্র কর্মচারীর জন্য চার বছরে ৭২ হাজার টাকা বেতন ধরা হয়েছে। সে হিসাবে তার মাসিক বেতন মাত্র ১ হাজার ৫০০ টাকা। আর তিনজন আউটসোর্সিং কর্মচারীর জন্য ৩৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা বেতন-ভাতা ধরা হয়েছে। এছাড়া তিনজন অনিয়মিত শ্রমিকের জন্য ১৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
বিদেশ সফর নিয়ে প্রকল্প পরিচালক
