সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

ব্যবসা টেকসই করতে দূষণ কমাতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০৩০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক জনসংখ্যা বাড়বে ব্যাপক হারে। মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়বে পোশাকসহ ফ্যাশন পণ্যের ব্যবহার। এ সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে ব্যবসা টেকসই করতে দূষণ কমাতে হবে। গতকাল দ্বিতীয় সাসটেইনেবিলিটি ফোরাম ২০১৯-এর সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিমত পোষণ করেছেন বক্তারা।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের টেকসই অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে আগামী ৫ নভেম্বর ঢাকায় বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে দ্বিতীয় সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের (এসএএফ) আয়োজন করছে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স (বিজিএমইএ) গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এসএএফের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। টাইটেল স্পন্সর হিসেবে আয়োজনের সঙ্গে আছে বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাস। আয়োজনের কোলাবোরেশন পার্টনার হিসেবে আছে সুইডিশ ফ্যাশন ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএম।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজ বলেন, শিল্পে এরই মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন হয়েছে এবং বাংলাদেশে এখন বিশ্বসেরা পোশাক কারখানা অবস্থিত। এটি নিঃসন্দেহে আনন্দের বিষয় যে, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নিয়োজিত মানুষ এবং ব্যবহূত টেকনোলজির উন্নয়নে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় সহযাত্রী হিসেবে থাকতে বদ্ধপরিকর। টেকসই পোশাক শিল্পের জন্য একসঙ্গে কাজ করা সবার দায়িত্ব।

বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, আমার কাছে টেকসই হওয়া মানে শুধু পরিবেশ না, শ্রমিকও। টেকসই কারখানা, শ্রমিক ও পরিবেশ না থাকলে তা কোনো অর্থবহ কিছু হয় না। এছাড়া তিনি এসএএফের সঙ্গে আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিলের (আরএসসি) সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ প্রসঙ্গে অবহিত করেন সংবাদ সম্মেলনে।

বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের (বিএই) প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, পোশাক শিল্পের জন্য সাসটেইনেবিলিটি কোনো পছন্দ নয় অত্যাবশ্যকীয়। সুতরাং দেশের পোশাক শিল্পকে টেকসই করার লক্ষ্যে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় আলোচনার সূত্রপাত করতে দ্বিতীয় সাসটেইনেবিলিটি ফোরামের আয়োজন করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন