২০২০ সালের প্রথমার্ধ

ইউরোপিয়ান পাম অয়েলের দাম বাড়ার পূর্বাভাস

বণিক বার্তা ডেস্ক

বর্তমানে মন্দা চলছে পাম অয়েলের বৈশ্বিক বাজারে। তবে এ অবস্থা খুব বেশি দিন স্থায়ী হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। মাত্রাতিরিক্ত দাবদাহে শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশগুলোয় কৃষিপণ্যটির ফলন কমেছে। একই সঙ্গে বাড়ছে অপরিপক্ব পামের সংখ্যা। ফলে পাম অয়েল উৎপাদন সক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এর বিপরীতে বিশ্বে দিন দিন জ্বালানি ও ভোজ্যতেল হিসেবে পণ্যটির চাহিদা বাড়ছে। চাহিদা অনুপাতে জোগান কমে আসায় আগামী বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ইউরোপীয় অপরিশোধিত পাম অয়েলের দাম বাড়ার পূর্বাভাস করেছেন খাতসংশ্লিষ্টারা। খবর রয়টার্স ও বিজনেস রেকর্ডার।

জার্মানিভিত্তিক সংবাদপত্র অয়েল ওয়ার্ল্ডের সম্পাদক মাইকেল বলেন, পরিবেশ বিপর্যের কারণে পাম অয়েলের উৎপাদন কমছে। কিন্তু পণ্যটির চাহিদা ব্যাপক পরিসরে বাড়ছে। এছাড়া বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশে বায়োডিজেলের চাহিদা বাড়ছে। আর বায়োডিজেল তৈরিতে জৈব জ্বালানি হিসেবে বাড়ছে পাম অয়েলের ব্যবহার। অন্যদিকে পণ্যটির শীর্ষ আমদানিকারক দেশ চীন ও ভারতে জ্বালানি ও ভোজ্যতেল উভয় খাতেই বাড়ছে পাম অয়েলের চাহিদা। এবার দেশ দুটি ভোজ্যতেল আমদানিতে রেকর্ড করতে পারে, যার অধিকাংশ থাকবে পাম অয়েলের দখলে।

এ পরিস্থিতিতে আগামী বছরের প্রথমার্ধে ইউরোপীয় পাম অয়েলের দাম বেড়ে প্রতি টন গড়ে ৬১০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। আর আন্তর্জাতিক বাজারে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল দাঁড়াতে পারে প্রতি টন ৫৮০ ডলারে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম চার সপ্তাহের সর্বনিম্নে নেমে আসে। এ সময় মালয়েশিয়ার বাজারে প্রতি টন পাম অয়েল ২ হাজার ১৫০ রিঙ্গিত বা ৫১২ ডলার ৮৮ সেন্টে কেনাবেচা হয়। একই সময়ে ইউরোপের বাজারে প্রতি টন অপরিশোধিত পাম অয়েল বিক্রি হয় ৫৩২ ডলার ৫০ সেন্টে।

এদিকে চলতি বছর পাম অয়েলের বৈশ্বিক ব্যবহার আগের তুলনায় বাড়তে পারে। প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে আগামী বছরের প্রথমার্ধেও। কিন্তু পণ্যটির উৎপাদন এরই মধ্যে কমতে শুরু করেছে। চলতি উৎপাদন বর্ষে পণ্যটির বৈশ্বিক উৎপাদন দাঁড়াতে পারে সব মিলিয়ে ২০ লাখ টন, যা আগের বর্ষের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।

২০১৮ সালে পাম অয়েলের বৈশ্বিক উৎপাদন ছিল ৪৮ লাখ টন।

২০১৯-২০ বিপণন বর্ষে চীনে সম্মিলিত ভোজ্যতেল আমদানি আগের বর্ষের তুলনায় ১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১ কোটি ৩১ লাখ টনে। এর মধ্যে পাম অয়েলের শেয়ার দাঁড়াতে পারে ৭২ লাখ টন। আর ভারতে সম্মিলিত ভোজ্যতেল আমদানি দাঁড়াতে পারে ১ কোটি ৫৬ লাখ টন, যার মধ্যে পাম অয়েলের শেয়ার থাকতে পারে ৯৭ লাখ টন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন