অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ মাইনাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও চলতি বছরের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত হালনাগাদ প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফা রেটিং)।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের
জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স। এতে
কোম্পানিটির শেয়ারকে ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।
সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির
শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৩ পয়সা,
আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৬৯ পয়সা। ৩১
ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য
(এনএভিপিএস)
দাঁড়ায় ১৮ টাকা ১৩ পয়সা, এক
বছর আগে যা ছিল ১৭ টাকা ৭২ পয়সা।
এদিকে সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০১৯ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) অগ্রণী
ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ৭০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৮
পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৭ পয়সা,
আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৬ পয়সা। ৩০
জুন কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৯৬ পয়সা।
২০১৭ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ নগদ
লভ্যাংশের পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছিল অগ্রণী
ইন্স্যুরেন্স। তার আগে ২০১৬ হিসাব বছরে ৭ শতাংশ নগদ ও ৩ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ
দিয়েছিল কোম্পানিটি।
ডিএসইতে গতকাল অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স
শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ২৫ টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও
সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৫ টাকা ৩০ পয়সা ও ৪৫ টাকা ৭০ পয়সা।
অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের
অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মোট
শেয়ারের ৩৪ দশমিক ৫২ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের
কাছে ১৭ দশমিক ৯২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৪৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ
শেয়ার রয়েছে।