খেলার মাঠে অনেকবার খাদের কিনারা থেকে দলকে বাঁচিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি নির্বাচনেও তেমন এক রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের ভেতর যেতে হয়েছিল সৌরভকে। তবে রোববার নানা নাটকীয়তার পর সৌরভের বিসিসিআইয়ের ‘মহারাজা’ হওয়ার বিষয়টি এখন নিশ্চিত। গতকাল ছিল মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন। তবে এ পদে সৌরভ ছাড়া আর কেউই মনোনয়নপত্র জমা দেননি। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অধিকর্তা হতে যাচ্ছেন ‘প্রিন্স অব কলকাতা’। বোর্ডের সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ছেলে জয় শাহ এবং আইপিএলের চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন ব্রিজেশ প্যাটেল।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মসনদ দখলের লড়াইয়ে সৌরভের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ব্রিজেশ। এর আগে শনিবার নয়াদিল্লিতে সৌরভ ও অমিত শাহর বৈঠকের পর নিশ্চিত ছিল সৌরভের দায়িত্ব নেয়ার বিষয়টি। কিন্তু মুম্বাইয়ে রোববার বোর্ডের বেসরকারি সভায় ধীরে ধীরে মিলিয়ে আসতে থাকে সৌরভের সম্ভাবনা। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল সৌরভ নয়, ব্রিজেশই হচ্ছেন সভাপতি। এরপর বোর্ড সদস্যরা আপত্তি তোলেন। অনেকেই দাবি করেন ব্রিজেশের চেয়ে সৌরভই অনেক বেশি যোগ্য। শোনা যায়, পরে অমিত শাহর পক্ষ থেকেও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ আসে। তার পরই পাশার দান উল্টে সামনে চলে আসেন সৌরভ। ফলে এখন জগমোহন ডালমিয়ার পর প্রথম বাঙালি হিসেবে বিসিসিআইয়ের প্রধান কর্তা হওয়ার পথে সৌরভ। আপাতত ১০ মাসের জন্য দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন তিনি।
আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব না নিলেও এরই মধ্যে নিজ শাসনামলের করণীয় ঠিক করার কাজ শুরু করেছেন সৌরভ। চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য প্রস্তুত সৌরভ জানান, ‘সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমরা সবার সঙ্গে কথা বলব। তবে আমি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেব প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটারদের।’ এ সময় প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটারদের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে বিবেচনা করার কথাও বলেন সৌরভ।
পাশাপাশি নাজুক সময়ে বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন সৌরভ, ‘আমি এমন সময়ে বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছি, যখন এটি ভালো অবস্থায় নেই। এর ভাবমূর্তি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় এসে ভালো কিছু করার অনেক বড় সুযোগ আমার সামনে।’
এদিকে সৌরভ বিসিসিআই সভাপতি হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পাবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ক্রিকইনফো