সৌরভ গাঙ্গুলি কেন ১০ মাসের জন্য বোর্ড প্রেসিডেন্ট?

বণিক বার্তা অনলাইন

হঠাৎ করেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি হিসেবে নামটা চলে এসেছে সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির। রোববার রাতে বিসিসিআইয়ের রাজ্য সংস্থাগুলোর বেসরকারি বৈঠকে সভাপতি হিসেবে তার নাম আসে। 

আজ সোমবার দুপুরে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সদরদপ্তরে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন শ্রীনিবাসন, রাজীব শুক্ল, নিরঞ্জন শাহের মতো দাপুটে বোর্ডকর্তারা। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না হলেও ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো অনেকটাই নিশ্চিতভাবে বলছেন, পশ্চিমবাংলা ক্রিকেটের রাজপুত্র সৌরভ গাঙ্গুলিই হচ্ছেন পরবর্তী বোর্ড প্রেসিডেন্ট। খবরে বলা হচ্ছে, আজ সোমবারই প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আর কেউ মনোনয়ন জমা দেননি।

ইতোমধ্যে সৌরভ গাঙ্গুলিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইটও করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদে সর্বসম্মত ভাবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য সৌরভকে অভিনন্দন। অজস্র শুভেচ্ছা রইল। তুমি ভারত ও বাংলাকে গর্বিত করেছো। সিএবি প্রেসিডেন্ট হিসেবেও তোমার কাজে গর্বিত। একটা দুর্দান্ত ইনিংসের অপেক্ষায় থাকলাম।’

এদিকে গুঞ্জণ উঠেছে বিজেপির হয়ে আগামী ২০২১ সালের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়ার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েই নাকি বোর্ড সভাপতির পদে ফাঁকা ফিল্ডে গোল দিচ্ছেন সাবেক এ অধিনায়ক। তবে এমন জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলি বলছেন, ‘একেবারেই এমন কিছু নয়। কেউই এ ব্যাপারে আমাকে কিছু বলেননি।’

ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের দায়িত্ব নিয়ে তার কর্মপরিকল্পনাও জানিয়েছেন সাংবাদিকদের। তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম কাজ হবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের দিকে নজর দেওয়া। এর আগে এই ব্যাপারে সিওএ-কে অনুরোধও করেছিলাম। কিন্তু ওরা শোনেনি। রঞ্জি ট্রফির দিকেও ফোকাস থাকবে। ক্রিকেটারদের আর্থিক স্বার্থের ব্যাপারটা দেখতে হবে।’

নতুন এই দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তিনি বলেন, ‘বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এই সময়ে প্রেসিডেন্ট হতে পারায় খুশি। কিছু করার জন্য দারুণ সুযোগ পেয়েছি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হোক বা অন্যভাবেই হোক, এটা মস্ত বড় দায়িত্ব। কারণ, বিসিসিআই বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সংস্থা। ভারত হল ক্রিকেটের পাওয়ারহাউস। এই দায়িত্ব তাই রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং।’

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, সৌরভ গাঙ্গুলি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন ১০ মাস। এর আগে সিএবিতে গত পাঁচ বছর পদাধিকারী ছিলেন তিনি। ফলে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ক্রিকেট প্রশাসন থেকে তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে তাকে। আর সিএবি প্রেসিডেন্ট থাকলেও তাকে জুলাইয়ের পর সরে যেতে হত। বোর্ড প্রেসিডেন্ট হয়েও তাই করতে হবে। কারণ ভারতের লোঢা সংস্কার অনুযায়ী, টানা ছয় বছর বোর্ড বা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার এক বা একাধিক পদে থাকা যাবে না।

সূত্র: আনন্দবাজার, এনডিটিভি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন