চলতি বছর এপ্রিল ও আগস্ট মাসে রাজধানীর গুলিস্তান ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে পুলিশের ওপর বোমা হামলার ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। পুলিশের দাবি, তারা দুজন নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. মেহেদী হাসান তামিম ও মো. আবদুল্লাহ আজমির। গ্রেফতারের পর তাদের হেফাজত থেকে একটি ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে সোমবার সকাল ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গ্রেফতার দুজনই নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য। তারা উভয়েই খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তারা নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তারা ভোলার একটি দুর্গম চরে প্রশিক্ষণ নেয়। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ হতে আটক ফরিদ উদ্দিন রুমির ছোট ভাই জামাল উদ্দিন রফিকের নেতৃত্বে একটি সামরিক শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। এ লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃতরা ফতুল্লা থানাধীন রফিকের বাসায় বোমা তৈরির একটি কারখানাও করেন। তারা পরস্পর যোগসাজসে তৈরিকৃত বোমায় গত ২৯ এপ্রিল গুলিস্তানে এবং ৩১ আগস্ট সাইন্সল্যাবে বোমা হামলায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা (গ্রেফতারকৃতরা) এসব তথ্য জানান মনিরুল ইসলাম। এছাড়াও তারা মালিবাগ, পল্টন ও খামারবাড়ির বোমা হামলায় ব্যবহৃত বোমা তৈরিতে তাদের বন্ধু রফিককে সহায়তা করেছিলেন বলেও জানান তিনি।
এই দুজনের পরিকল্পনা এবং নেতৃত্বেই সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে পুলিশের উপর বোমা হামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘আটককৃতরা জানিয়েছেন, অতি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার তক্কার মোড়ে পরিচালিত জঙ্গি বিরোধী অভিযানস্থলে তারা নিয়মিত শলাপরামর্শ করাসহ বিভিন্ন ধরনের বোমার উৎকর্ষ সাধনে তৎপর ছিলেন। তাদের অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।’
গ্রেফতার দুইজনকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।