পুলিশের বাধায় আবরারের বাড়ি যেতে পারেননি বিএনপি নেতারা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া

পুলিশের বাধায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাড়িতে যেতে পারেননি বিএনপির দুই কেন্দ্রীয় নেতা। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পিটুনিতে নিহত আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গতকাল তারা কুষ্টিয়া যান। তবে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পুলিশ লালন শাহ সেতু থেকে তাদের ফিরিয়ে দেয়।

জানা গেছে, ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান ও দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিমুদ্দিন আলমকে বহনকারী গাড়ি গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লালন শাহ সেতু পার হয়ে কুষ্টিয়ার প্রবেশমুখে পৌঁছায়। তাদের আনতে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রূমী ও সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দীন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে সেখানে পুলিশের একটি দল রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বিএনপি নেতাদের আবরারের বাড়িতে যেতে বাধা দেয়। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটিও হয়। বাধার মুখে একপর্যায়ে আমান উল্লাহ আমান ও নাজিমুদ্দিন আলম গাড়ি ঘুরিয়ে ঢাকার দিকে চলে যান।

ফিরে আসার আগে আমান উল্লাহ আমান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা নিহত আবরারের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে কুষ্টিয়া এসেছি। পুলিশি বাধার মাধ্যমে সরকার আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিল। সরকার সংবিধানের ৩৯ ধারা লঙ্ঘন করে গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করেছে। মানবাধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করে যে অপমান করা হলো, সরকার একদিন এর জবাব পাবে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আমাদের সংগ্রাম চলমান আছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই অগণতান্ত্রিক সরকারের পতন হবে।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রূমী জানান, গতকাল কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুষ্টিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী চুক্তির প্রতিবাদ এবং বুয়েটে নিহত আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল। এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে আমান উল্লাহ আমান ও নাজিমুদ্দিন আলম কুষ্টিয়ায় এসেছিলেন। দলীয় কর্মসূচি শেষে তাদের আবরার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল।

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) আল বিরুনি বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে বিএনপি নেতাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৬ অক্টোবর বুয়েটের তড়িত্ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন