সিলেটকে সহজেই হারাল বরিশাল

দ্বিশতকে অনন্য ইমরুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে মনে হচ্ছিল এবারের জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ড হয়তো বিনা সেঞ্চুরিতে শেষ হবে। কিন্তু শেষ দিনে এসে চমক দেখিয়েছেন ইমরুল কায়েস। কেবল সেঞ্চুরিই নয়, পেয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরি। প্রথম স্তরের দুটি ম্যাচই ড্র হলেও ইমরুলের সেঞ্চুরিই মূলত খুলনাকে তুলে দিয়েছে শীর্ষস্থানে। অবশ্য খুলনার বোলাররাও দেখিয়েছেন দারুণ নৈপুণ্য। দলীয়ভাবে আসল চমক দেখা গেছে দ্বিতীয় স্তরে বরিশাল বনাম সিলেটের ম্যাচে। যেখানে বরিশাল জয় তুলে নিয়েছে ইনিংস ও ১৩ রানের ব্যবধানে। এই জয়ে ৯.৫ পেয়ে এখন বাকিদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে বরিশাল।

নিজেদের পরিচিত কন্ডিশনে রংপুর বিভাগের দেয়া ২২৭ রানের জবাবে খুলনা দ্বিতীয় দিন শেষ করে ৩ উইকেটে ১৯২ রানে। ইমরুল অপরাজিত ছিলেন ২৯ ও সৌম্য সরকার ৮ রানে। দলীয় ২৪৪ রানে সৌম্যকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন শুভাশিষ রয়। ৩৬ রানে সৌম্য ফিরে গেলেও ইমরুল ছিলেন অবিচল। বাকিরা খুব সঙ্গ দিতে না পারলেও নিজের মতো করেই ইনিংস টেনে নিতে থাকেন ইমরুল। ১৮৩ বলে নাসির হোসেনকে চার মেরে পূরণ করেন নিজের শতক। তখনই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা। রুবেল হোসেনকে এক প্রান্তে রেখে একপর্যায়ে ১৫০ রানের কোটাও পূরণ করেন ইমরুল। ২ রান করে রুবেল যখন আউট হন তখন ইমরুলের রান ১৭৪। এরপর আল আমিন হোসেনকে নিয়ে ৩১১ বলে পূরণ করে নেন নিজের দ্বিশতকও। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৪৫৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে খুলনা। ৩১৯ বলে ১৯ চার ও ৬ ছক্কায় ২০২ রানে অপরাজিত থাকেন ইমরুল। পরে ১ উইকেটে রংপুরের রান যখন ৩৩, তখন খেলা শেষ হলে ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। ম্যাচসেরা ইমরুল। ২.৫ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্তরের সবার নিচে রংপুর।

প্রথম স্তরের অন্য ম্যাচটিও শেষ হয়েছে ড্রয়ে। তবে লো স্কোরিং এ ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চাপে ছিল চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী বিভাগ। যেখানে প্রথম ইনিংসে ঢাকা সংগ্রহ করে ২৪০ রান। জবাবে ১৯৭ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে ঢাকার রান ২০৬/৬। তাইবুর রহমান ৬৭ ও সুমন খান ১ রানে অপরাজিত ছিলেন। তবে ২৫৪ রানে যেতেই গুটিয়ে যায় ঢাকা। সর্বোচ্চ ৮৮ রান করেন তাইবুর। তাইজুল ইসলাম ৫টি ও ফরহাদ রেজা ৩টি উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে রাজশাহী। একপর্যায়ে ৯৯ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। কিন্তু ম্যাচ শেষ হয়ে গেলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে রাজশাহী। জহুরুল ইসলাম ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন তাইবুর। পয়েন্ট টেবিলে ঢাকা দুই নম্বরে এবং রাজশাহী আছে তিনে।

এদিকে রাজশাহীতে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে সিলেটকে বিধ্বস্ত করে ইনিংস ও ১৩ রানে জয় তুলে নিয়েছে বরিশাল। বরিশালের করা ৮ উইকেটে ২৩১ রানের জবাবে দুই ইনিংস মিলিয়েও ইনিংস হার এড়াতে পারেনি সিলেট। প্রথম ইনিংসে ৮৬ রান করে সিলেট, দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ১৩২ রানে। তানভীর ইসলাম ও মনির হোসেনের বোলিংয়ের সামনে মূলত গুটিয়ে যায় সিলেট। সিলেটের পক্ষো সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন জাকের আলী। ইমতিয়াজ হোসেন করেন ৩৫ রান। ম্যাচসেরা প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট পাওয়া কামরুল ইসলাম রাব্বি। টেবিলে বরিশাল শীর্ষে থাকলেও সিলেট আছে চার নম্বরে।

দ্বিতীয় স্তরের অন্য ম্যাচে ড্র করেছে ঢাকা মেট্রো ও চট্টগ্রাম বিভাগ। প্রথম ইনিংসে ২৯০ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে ৩৫৪ রানে থামে মেট্রো। পাল্টা জবাবে ৫ উইকেটে যখন চট্টগ্রামের রান ২২৭ তখন খেলা শেষ হলে ম্যাচ ড্র হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম করেন ৪৬, পিনাক ঘোষের কাছ থেকে আসে ৫৭ রান। তাসামুল করেন ৫৩ ও মাসুম খানের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৬১। ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা মাহমুদউল্লাহ। তবে টেবিলে মেট্রোর চেয়ে এগিয়ে দুই নম্বরে চট্টগ্রাম। তিনে আছে মেট্রো।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন