ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বাতাসে কয়েকদিন ধরে ধূলিকণার মাত্রা বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি এত বাজে হয়ে উঠেছে যে, হঠাৎ দেখে মনে হতে পারে শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন শহর। গতকাল রাজধানীটিতে বাতাসে ধূলিকণার মাত্রা বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) পৌঁছায় ২৫৬ পিএম, যা অত্যন্ত মারাত্মক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, ধূলিকণার স্বাভাবিক মাত্রা ৬০ পিএম। এ হিসাবে ২০০ থেকে ৩০০ হলেই তা স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ, আর ৩০১ থেকে ৪০০ খুবই খারাপ। খবর এনডিটিভি।
দেশটির সিস্টেম অব এয়ার কোয়ালিটি
অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চের (এসএএফএআর) কর্মকর্তারা
জানিয়েছেন, গত শুক্র ও শনিবার দিল্লির একিউআই ছিল যথাক্রমে ২০৮ ও ২২২। চলতি মাসের
তৃতীয় সপ্তাহে দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা আরো বাড়তে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
এসএএফএআর আরো জানিয়েছে, এর মধ্যে নয়াদিল্লির আনন্দবিহার ও ওয়াজিরপুর এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা
অত্যন্ত শোচনীয় অবস্থায় পৌঁছেছে। এ এলাকাগুলোর একিউআই ছুঁয়েছে ৩০০ পিএম।
দিল্লির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শস্য
কাটার পর চাষের জমিতে যে খড়কুটো পড়ে থাকে,
তা পোড়ানোর জন্য দিল্লির বাতাস দূষিত হচ্ছে।
২০১৫ সাল থেকেই রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় খড়কুটো পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছিল ন্যাশনাল গ্রিন
ট্রাইব্যুনাল। তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও
খড়কুটো পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। দুদিন ধরে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় খড়কুটো
পোড়ানো বাড়ায় পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে তার ধোঁয়া নয়াদিল্লিতে এসে বায়ুকে আরো দূষিত
করছে।