প্লাস্টিক খেকো ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান

ফিচার ডেস্ক

সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞান মানুষকে অনেক কিছু উপহার দিয়েছে, যা জীবনযাপনকে সহজতর করেছে। কিন্তু বিজ্ঞানের সে আশীর্বাদ কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিশাপে পরিণত হয়েছে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ প্লাস্টিক। প্লাস্টিকের আবিষ্কার মানবজীবনকে সহজ করে তুললেও কঠিন এক বিপদের মুখে ফেলে দিয়েছে সমগ্র পৃথিবীকে। প্লাস্টিক এমনই এক ধরনের বর্জ্য পদার্থ, যা অপচনশীল। কয়েক হাজার বছরেও একটি প্লাস্টিকের বোতল মাটির সঙ্গে মিশে না। তদুপরি এর উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব

বাতাসের মাধ্যমে মানুষের শরীরেও মাইক্রোপ্লাস্টিক ঢুকে পড়ছে। সরাসরি এগুলো মানুষের শরীরে প্রবেশ করে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। সমুদ্র-মহাসমুদ্রে প্লাস্টিক বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, মাছ সামুদ্রিক প্রাণীর জীবন মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে। মাইক্রোপ্লাস্টিক সঞ্চিত হয়ে তা খাদ্যচক্রের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে। এভাবেই প্লাস্টিক পৃথিবীকে যখন গ্রাস করছে, তখন এই প্লাস্টিক খেকো দুটি ব্যাকটেরিয়া স্ট্রেন খুঁজে পেয়েছে ভারতের উত্তর প্রদেশের গ্রেটার নয়ডার শিব নাদর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক। তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন জলাভূমি থেকে প্লাস্টিকনাশক দুটি ব্যাকটেরিয়া স্ট্রেন খুঁজে পেয়েছে তারা, যা প্লাস্টিক-বর্জ্য সাফ করার পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা হয়ে উঠতে পারে। এগজিগুয়োব্যাকটেরিয়াম সিবিরিকাম স্ট্রেন ডিআর১১ এগজিগুয়োব্যাকটেরিয়াম আনডি স্ট্রেন ডিআর১৪ নামের স্ট্রেন দুটি প্লাস্টিকের মূল উপাদান পলিস্টাইরিনকে পচিয়ে (ডিকম্পোজ) মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারে।

গবেষণা দলটি শনাক্ত করেছে, প্লাস্টিকের (পলিস্টাইরিন) সংস্পর্শে আসার পর ব্যাকটেরিয়া সেটিকে কার্বন উৎস হিসেবে ব্যবহার করে এবং বায়োফিল্ম সৃষ্টি করে। এটি পলিস্টাইরিনের শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলোকে পরিবর্তিত করে এবং পলিমার চেইনগুলো ভাঙতে হাইড্রোলাইজিং এনজাইম ছাড়ার সঙ্গে প্রাকৃতিক অবক্ষয়ের শুরু হয়। গবেষণা দলটি বর্তমানে পরিবেশগত বায়োরিমিডিয়েশনে ব্যবহারের জন্য স্ট্রেনগুলোর বিপাক প্রক্রিয়া মূল্যায়নের চেষ্টা করছে।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন