ভারতের কয়লা আমদানি ২০ কোটি টন ছাড়াতে পারে

বণিক বার্তা ডেস্ক

অভ্যন্তরীণ উত্তোলন হ্রাস পাওয়ায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভারতের তাপ কয়লা আমদানি ২০ কোটি টন ছাড়াতে পারে। দেশটির বিনিয়োগবিষয়ক তথ্য প্রদানকারী সংস্থা আইসিআরএ লিমিটেডের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

আইসিআরএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কোল ইন্ডিয়া লিমিটেডের (সিআইএল) কয়লা উত্তোলন কমে যাবে। প্রাক্কলন অনুযায়ী, সময়ে কোল ইন্ডিয়ার উত্তোলন দাঁড়াতে পারে ৬৬ কোটি টনে।

যেখানে উত্তোলন গত বছরের তুলনায় কোটি ৫০ লাখ থেকে কোটি ৫০ লাখের মতো কমে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আইসিআরএ বলছে, গত সেপ্টেম্বরে সিআইএলের কয়লা উত্তোলন ২৩ দশমিক শতাংশ কমেছে। শ্রমিক অসন্তোষ এবং প্রধান প্রধান খনি এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সময়ে উত্তোলন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমেছে। 

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে সিআইএলের কয়লা উত্তোলন গত বছরের তুলনায় শতাংশ কমেছে। যেখানে গত অর্থবছরের একই সময় উত্তোলন প্রবৃদ্ধি ছিল শতাংশ।

আইসিআরএর মতে, বার্ষিক লক্ষ্যপূরণ অথবা চলতি অর্থবছরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এরই মধ্যে কঠিন হয়ে উঠেছে। এর পরও লক্ষ্য পূরণ করতে হলে বাকি মাসগুলোয় সিআইএলকে দৈনিক উত্তোলন বাড়িয়ে ২৩ লাখ টনে নিতে হবে।

কিন্তু আইসিআরএ মনে করে, কাজটি প্রায় অসম্ভব। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দেশটির কয়লা খনিগুলো ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত অল্প কিছু সময় দৈনিক উত্তোলন ২০ লাখ টন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। সে কারণে প্রথমার্ধের উৎপাদনস্বল্পতার ধাক্কা এই সময়ে সামাল দেয়া বেশ কঠিন হয়ে যাবে। 

আইসিআরএ তাদের প্রতিবেদনে বলছে, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে কোল ইন্ডিয়ার উত্তোলন বৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে দেশটি বিদ্যুৎ খাত। কারণ সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে অন্যান্য খাতের তুলনায় বিদ্যুৎ খাত বেশি প্রাধন্য পেয়ে থাকে। যে কারণে বাকি মাসগুলোয় অন্যান্য খাতের কয়লা আমদানি বৃদ্ধি পাবে।

এদিকে অর্থবছরের প্রথমার্ধে সিআইএলের উত্তোলন হ্রাস পাওয়ায় প্রভাব পড়েছে দেশটির মজুদ থাকা কয়লার ওপর। আইসিআরএর জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট জয়ন্ত রয় জানান, চলতি বছরের মে মাসের শেষ পর্যন্ত দেশটির বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য কয়লার মজুদ ছিল কোটি ৩০ লাখ টন। যেখানে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত মজুদ কমে দাঁড়িয়েছে কোটি ২০ লাখ টনে। মজুদ থেকে ব্যবহূত কয়লার ৫০ শতাংশই গিয়েছে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলোর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয়। ফলে আসন্ন দিনগুলোয় দেশটিতে কয়লার উত্তোলন আরো কমলে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র আরো অসুবিধায় পড়বে বলে মনে করেন জয়ন্ত রয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন