সার্চ, ম্যাপ, অ্যান্ড্রয়েড— সবটাতেই গুগল সফল। তবে বেশকিছু পণ্য সাময়িকভাবে ভোক্তাদের মধ্যে সাড়া জাগালেও তা ছিল ক্ষণস্থায়ী। ২০১১ সালে উন্মোচিত সোস্যাল মিডিয়া অ্যাপ গুগল প্লাসের কথাই ধরা যাক। বৈশ্বিক সোস্যাল মিডিয়া সেবা খাতে ফেসবুকের সঙ্গে টক্কর দেয়ার ক্ষমতা ছিল। কিন্তু ভোক্তা পর্যায়ে জনপ্রিয় না হওয়ায় গত এপ্রিলে গুগল প্লাসের কার্যক্রম বন্ধ করেছে গুগল। গুগল ‘বাজ’ কিংবা ‘জিচ্যাট’-এর একই দশা। চলতি বছর গুগল স্থায়ীভাবে বিদায় জানিয়েছে এমন ১০টি পণ্য নিয়ে আয়োজনের আজ প্রথম পর্ব—
গুগল প্লাস: বৈশ্বিক সোস্যাল মিডিয়া খাতে আধিপত্য বিস্তারে গুগল প্লাস উন্মোচন করেছিল গুগল। অ্যাপটিকে জনপ্রিয় করার সব চেষ্টাই চালিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফেসবুকের সঙ্গে টক্কর দিতে গুগল প্লাসের আগেও নতুন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট চালু করেছিল গুগল। কিন্তু প্রতিবারের মতোই গুগল প্লাস নিয়েও ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। ২০১১ সালের ২৮ জুন চালু হওয়া গুগল প্লাসের কার্যক্রম গত এপ্রিলে স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কার্যক্রম বন্ধের আগে সেবাটির বয়স হয়েছিল আট বছর এবং এর ব্যবহারকারী ছিল ১৯ কোটি ৮০ লাখ। গুগল প্লাসের কার্যক্রম বন্ধের সময় বিকল্প সেবা আনার ইঙ্গিত দেয়া হলেও পরে তা নিয়ে গুগলের কোনো তোড়জোড় দেখা যায়নি।
গুগল অ্যালো: গুগলের স্মার্ট মেসেজিং অ্যাপ গুগল অ্যালো। ২০১৬ সালের ডেভেলপার সম্মেলনে সেবাটির ঘোষণা দিয়েছিল গুগল। বিল্টইন গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট সমর্থিত এ মেসেজিং সেবা কখনো গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে পারেনি। যে কারণে ২০১৮ সালের এপ্রিলে অ্যালোতে বিনিয়োগ স্থগিত করা হয়। সর্বশেষ গত মার্চে অ্যালোর কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করে গুগল। সেবাটি মোট ১২টি ভাষায় ব্যবহারের সুযোগ ছিল। গুগল অ্যালোর পরিবর্তে আনা হয় ‘গুগল চ্যাট’
সেবা। ভোক্তাদের এ অ্যাপ ব্যবহারের পরামর্শও দেয়া হয়। কিন্তু গুগল চ্যাট এখন পর্যন্ত ভোক্তা পর্যায়ে খুব একটা সাড়া জাগাতে পারেনি।
ইনবক্স বাই জিমেইল: গুগল তাদের জিমেইল সেবা ব্যবহারকারীদের বেশকিছু নতুন সুবিধা দিতে ‘ইনবক্স বাই জিমেইল’
চালু করেছিল। ২০১৪ সালের ২২ অক্টোবর প্রাথমিকভাবে উন্মোচন করা হলেও ভোক্তা পর্যায়ে সেবাটি পৌঁছায় ২০১৫ সালের ২৮ মে। উন্মোচনের চার বছরের মাথায় জিমেইলকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে সেবাটি বন্ধের ঘোষণা দেয় গুগল। গত এপ্রিলে গুগল প্লাসের সঙ্গে ইনবক্স বাই জিমেইল সেবাটিও স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়। ইনবক্স বাই জিমেইল চালু করা হয়েছিল উৎপাদনশীলতা; বিশেষ করে প্রতিদিন যাদের অসংখ্য ই-মেইল আসে, তাদের উপযোগী করে উন্নয়ন করা হয়েছিল। সেবাটিতে স্বয়ংক্রিয় উত্তর লেখা কিংবা বান্ডেল তৈরির সুবিধা ছিল।
ইউটিউব গেমিং: ২০১৫ সালে ইউটিউবে আলাদা গেম স্ট্রিমিং ওয়েব পোর্টাল চালু করে গুগল। সেবাটি গ্রাহক আকর্ষণে ব্যর্থ হওয়ায় গত বছরই বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, যা চলতি বছরের প্রথম দিকে কার্যকর হয়। সেবাটি বন্ধের বিষয়ে এক পোস্টে গুগল জানায়, গেমিং সেবা ইউটিউবের মূল ওয়েবসাইটেই যুক্ত করা হবে। যে কারণে আলাদা পোর্টালের প্রয়োজন থাকছে না। অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে যারা ইউটিউব গেমিংয়ের গ্রাহক হয়েছিলেন, মূল ইউটিউব ওয়েবসাইটেও সে সেবাগুলো তারা পাবেন। তবে ব্যবহারকারীরা গেমের যে বিষয়বস্তুগুলো সংরক্ষণ করেছিল, তা মুছে দেয়া হয়েছে।
গুগল ইউআরএল শর্টেনার: বড় বড় লিংকগুলো (ইউআরএল) ছোট বা সংক্ষিপ্ত করতে অনেকেই গুগল শর্টেনার সেবা ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। গত ১৩ এপ্রিল থেকে সেবাটি বন্ধ করে দিয়েছে গুগল। এর পরিবর্তে অ্যাপ কেন্দ্রিক ফায়ারবেস ডায়নামিক লিংকস (এফডিএল)
- এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ব্যয় বাড়বে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার
- ইন্টেলের কোর আল্ট্রা প্রসেসরসহ এমএসআইয়ের নতুন ল্যাপটপ
- টিকটক নিষিদ্ধ বা বিক্রিতে মার্কিন সিনেটে বিল পাস
- কোয়েস্ট অপারেটিং সিস্টেম উন্মুক্ত করল মেটা
- স্মার্টফোনের বাজারে পুনরায় আসছে মেইজু
- চলতি সপ্তাহে নতুন প্রসেসর উন্মোচন করবে কোয়ালকম