এসেনশিয়াল অয়েল বহুকাল আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সেসময় তা ব্যথানাশক মলম ও সুগন্ধির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ইদানিংকালেও এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই বলেন, এসেনশিয়াল অয়েল বা উদ্ভিদ ভিত্তিক ল্যাভেন্ডার, মিন্ট, ইউক্যালিপ্টাস ইত্যাদি তেলগুলো শরীরের বিভিন্ন নিরাময় সাধনে সহায়তা করে। তবে এসেনশিয়াল অয়েল সম্পর্কে ব্যাপক ইতিবাচক কথা প্রচলিত থাকলেও এসব তেল আসলেই কতটা উপকারী ও নিরাপদ সে সম্পর্কে বিজ্ঞান খুব একটা নিশ্চিত না। অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা, এই তেল বিষয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক যতগুলো গুণাগুণের কথা প্রচলিত, তার সবগুলোর উপস্থিতি এতে নেই।
উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ যেমন- কাণ্ড, পাতা অথবা বীজ থেকে নির্যাস নিয়ে তৈরি করা হয় এসেনশিয়াল অয়েল। যা কিনা শারীরিক ও মানসিক আরোগ্যলাভের জন্য অ্যারোমাথেরাপিতে ব্যবহার করা হয়। ভিন্ন উদ্ভিদ থেকে নেয়া আলাদা ধরনের তেলগুলোর ভিন্ন ভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। যেমন- পিপারমিন্ট শক্তিবর্ধন করে, ল্যাভেন্ডার মনকে শান্ত রাখে, জেসমিন মুড ভালো রাখে ইত্যাদি। কিছু তেল আবার ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ইনফেকশন, হৃদরোগ ইত্যাদির উপসর্গ কমাতে ব্যবহার করা হয়।
ক্যালিফোর্নিয়ার ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিন গ্রুপ অব আরভাইনের প্রতিষ্ঠাতা, ফিলিস গের্শের মতে, সিন্থেটিক ফার্মাসিউটিক্যাল ওষুধগুলো তাদের আবেদন হারিয়েছে, যার ফলে মানুষ এসেনশিয়াল অয়েলের মতো আরও প্রাকৃতিক বিকল্পের সন্ধান করছে।