তৈরি পোশাক রফতানির বিপুল অর্থ দেশে আসছে না

বদরুল আলম

বাংলাদেশের পোশাক পণ্য রফতানি বার্ষিক হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। তবে রফতানির বিপুল অর্থ দেশে আসছে না। ব্যাংকার রফতানিসংশ্লিষ্টদের মতে, রফতানি প্রাপ্ত অর্থের মধ্যে সর্বোচ্চ শতাংশ ব্যবধান থাকতে পারে। যদিও তা গড়ে প্রায় ১৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত অর্থবছরও রফতানি এর বিপরীতে অর্থপ্রাপ্তির ব্যবধান ছিল ১৬ শতাংশ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তার অধীন সংস্থার মাধ্যমে রফতানি পণ্যের জাহাজীকরণ বা শিপমেন্টের পরিসংখ্যান আধুনিক সফটওয়্যার ব্যবস্থার মাধ্যমে সংগ্রহ করে। সংস্থাটি থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেশের সামগ্রিক রফতানির পরিসংখ্যান প্রকাশ করে রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আর রফতানির বিপরীতে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থপ্রাপ্তির হিসাব করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ইপিবির পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১০-১১ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত নয় বছরে দেশ থেকে সর্বমোট পোশাক রফতানি হয়েছে ২২ হাজার ৯৪৯ কোটি ডলারের। এর মধ্যে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) কারখানা থেকে রফতানির পরিমাণ হাজার ৮০১ কোটি ডলারের। হিসাবে ইপিজেডের বাইরের কারখানা থেকে সর্বশেষ নয় বছরে পোশাক রফতানি হয়েছে ২০ হাজার ১৪৮ কোটি ডলারের। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পরিমাণ রফতানির বিপরীতে অর্থ এসেছে প্রায় ১৭ হাজার ৩৫৯ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত নয় বছরে ইপিজেডের বাইরের কারখানা থেকে পোশাক রফতানি অর্থপ্রাপ্তির মধ্যে ব্যবধান হাজার ৭৮৮ কোটি ডলার। এর মধ্যে সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ব্যবধান ৪৭১ কোটি ডলার। গত অর্থবছর ইপিজেডের বাইরের কারখানাগুলো থেকে হাজার কোটি ডলারের পোশাক রফতানির বিপরীতে দেশে এসেছে হাজার ৫৩৩ কোটি ডলার।

অন্য অর্থবছরগুলোর মধ্যে ২০১০-১১- ইপিজেডের বাইরে সারা দেশের কারখানা থেকে পোশাক রফতানি হয়েছিল হাজার ৬১৭ কোটি ডলারের। রফতানির বিপরীতে ওই অর্থবছর এক্সপোর্ট রিসিট বা অর্থপ্রাপ্তির পরিমাণ ছিল হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। হিসাবে রফতানি তার বিপরীতে অর্থপ্রাপ্তির পার্থক্য ছিল ২৬৬ কোটি ডলার বা ১৬ শতাংশের বেশি।

নয় অর্থবছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছর পর্যন্ত রফতানি অর্থপ্রাপ্তির পার্থক্যের হার হ্রাস-বৃদ্ধির মধ্যে থাকলেও এর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে। ২০১৫-১৬ অর্থবছর ইপিজেডের বাইরের কারখানা থেকে হাজার ৪৪৩ কোটি ডলারের পোশাক রফতানির বিপরীতে অর্থ আসে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন