২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার কারণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) চলমান আন্দোলন দুদিনের জন্য শিথিল ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এমন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ অক্টোবর নির্ধারিত তারিখে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে বুয়েট প্রশাসন।
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে চলমান আন্দোলন কর্মসূচি দুদিনের জন্য শিথিল করার ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, প্রশাসন এরই মধ্যে আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এটা আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয়। এ কারণে ১৩ ও ১৪ অক্টোবর চলমান আন্দোলন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ১৪ অক্টোবর বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হোক, সেটা আমরা চাই। পরীক্ষা বানচালের দায় আমরা নিতে চাই না।
আন্দোলনকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে পাঁচটি আনুষ্ঠানিকভাবে মেনে নিয়ে গতকাল দুপুরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং পরে অভিযোগপত্রে যাদের নাম আসবে, তাদের স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে; আবরার হত্যা মামলার সব খরচ বুয়েট প্রশাসন বহন করবে এবং তার পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে বুয়েট প্রশাসন বাধ্য থাকবে; বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ; বুয়েটে র্যাগের নামে নির্যাতনের ঘটনাসংক্রান্ত অভিযোগ প্রকাশের জন্য একটি ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা ও অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি এবং সব হলের দুই পাশে প্রতি ফ্লোরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
আরো একজন গ্রেফতার: আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আরেক আসামি মোয়াজ আবু হুরাইরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (ডিবি) গতকাল রাজধানীর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টর থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমান জানান, আবরার হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মোয়াজ। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি গা-ঢাকা দেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় উত্তরা এলাকার একটি বাসায় তার অবস্থান শনাক্ত হয়। এরপর সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মোয়াজ বুয়েটের সিএসই বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ নিয়ে আবরার হত্যা