উচ্চশিক্ষার মান তদারকিতে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল

চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগেই আড়াই বছর

সাইফ সুজন

দেশের উচ্চশিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে ২০১৭ সালের মার্চে পাস হয় অভিস্বীকৃতি (অ্যাক্রেডিটেশন) কাউন্সিল আইন। আইনের আওতায় ওই বছরই গঠন করা হয় অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল। কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সদস্য নিয়োগ দিতেই পার হয়ে গেছে আড়াই বছর। এখন পর্যন্ত কোনো অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত হয়নি। তৈরি হয়নি অ্যাক্রেডিট করার মানদণ্ড ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্কও।

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রোগ্রাম স্বীকৃতি দেয়ার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল রয়েছে। উন্নত বিশ্বের সব দেশেই ধরনের বিভিন্ন বডি রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায়ও মিয়ানমার ছাড়া সব দেশেই অ্যাক্রেডিট প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিক্ষাবিদদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশেও গঠন করা হয়েছে ধরনের কাউন্সিল।

তবে আইনের খসড়া প্রণয়ন থেকে শুরু করে সংসদে পাস হতেই সময় লেগেছে ছয় বছরেরও বেশি সময়। আর আইন পাসের পর চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতেই লেগেছে প্রায় দেড় বছর। ২০১৮ সালের আগস্টে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ উদ্দিন। এরপর চারজন স্থায়ী সদস্য নিয়োগ দেয় সরকার। আর সম্প্রতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে খণ্ডকালীন সদস্য।

কাউন্সিলের কার্যক্রম পরিচালনা সম্পর্কে অধ্যাপক মেসবাহ উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করেছি। তবে অর্থ ছাড় হতে একটু সময় লেগেছিল। আমাকে একাই দৌড়াতে হয়েছে। কাউন্সিলের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে লোকবল দরকার। অর্গানোগ্রাম দুবার পাঠানোর পরও ফেরত এসেছে। এখন পূর্ণাঙ্গভাবে তৈরি করে পুনরায় পাঠাব। আর কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্কের খসড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তারা সময় বের করতে না পারায় সেটা এগোচ্ছে না।

অভিস্বীকৃতি (অ্যাক্রেডিটেশন) কাউন্সিল আইন, ২০১৭ অনুযায়ী অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল একাডেমিক প্রোগ্রাম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দেবে। অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ফি প্রদানের মাধ্যমে কাউন্সিল বরাবর আবেদন করবে। এরপর কাউন্সিলের বিশেষজ্ঞ সদস্যের একটি অ্যাসেসমেন্ট কমিটি সরেজমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যাবলি পর্যবেক্ষণ করে মতামতসহ প্রতিবেদন দেবে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় শর্তসাপেক্ষে কাউন্সিল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কনফিডেন্স অ্যাক্রেডিটেশন সনদ দেবে।

আইন পাসের পর

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন