চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলগুলো পরিদর্শন শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। হলগুলোয় অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সার্বিক অবস্থা দেখতে এ পরিদর্শন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার। গতকাল বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হল পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। পরে শামসুন্নাহার হল, খালেদা জিয়া হল, শহীদ আবদুর রব হল, শাহজালাল হল ও সোহরাওয়ার্দী হল পরিদর্শন করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হয়। পর্যায়ক্রমে সবগুলো আবাসিক হল পরিদর্শন করা হবে বলেও জানান অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার পরিদর্শনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার সাংবাদিকদের বলেন, এটি হল অভিযান নয়, এটি হচ্ছে পরিদর্শন। আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের দেখতে এসেছি। তারা কেমন নিরাপদে আছে তা জানতে এসেছি। আমাদের এখানে কোনো খারাপ কিছু নেই। কোনো টর্চার সেল নেই। বুয়েটের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। ওই ঘটনার পর আমরা চবির সব হলের প্রভোস্ট, প্রক্টর, সিনিয়র শিক্ষক ও হাউজ টিউটররা বসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য হল পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিই। ভবিষ্যতে যেন বুয়েটের মতো কোনো ঘটনা না ঘটে, সেজন্য আমরা শিক্ষার্থীদের দেখতে এসেছি। সামনে আমাদের ভর্তি পরীক্ষা। আমরা সেটা নিয়ে ব্যস্ত। ভর্তি পরীক্ষার পর কারা হলে অবৈধভাবে থাকছে এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. রেজাউল করিম, মাস্টারদা সূর্যসেন হলের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান, আলাওল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আবদুল হক, এএফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক এমএম মনিরুল হাসান, শাহজালাল হলের প্রভোস্ট শাহেদ বিন সাদিক, সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ, শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট ড. মু. গোলাম কবীর, শহীদ আবদুর রব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. একেএম মাঈনুল হক মিয়াজী, শামসুন্নাহার হলের প্রভোস্ট ড. লায়লা খালেদ (আঁখি), প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট পারভীন সুলতানা এবং খালেদা জিয়া হলের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাসেম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য, হলগুলোর আবাসিক শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।