একসময় মৌলভীবাজার শহরবাসীর কাছে দুঃখের আরেক নাম ছিল কোদালীছড়া। দীর্ঘদিন ধরে ভরাট ও ময়লা আবর্জনার স্তূপ বর্ষায় এ ছড়া দিয়ে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হতো। এতে শহরে দীর্ঘ সময় লেগে থাকত জলাবদ্ধতা। গত দুই বর্ষা মৌসুম থেকে সেই দুর্ভোগ আর নেই। পরিকল্পিত খনন এবং নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনার কারণে বর্ষায় জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পেয়েছে শহরবাসী। ওই সুফলকে স্থায়ীভাবে ধরে রাখতে ও কোদালীছড়াকে নতুন রূপ দিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় ছড়ার দুপাশে প্রতিরক্ষা দেয়াল (গাইড ওয়াল) ও পায়ে চলার পথ (ওয়াকওয়ে) নির্মাণ করা হবে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় এলজিইডি।
পৌরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম কোদালীছড়া। দীর্ঘদিন ধরে শহরের ভেতরের প্রায় চার কিলোমিটারসহ কোদালীছড়ার ১২ কিলোমিটার এলাকা ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারেনি। এতে ভারি বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে রাস্তাঘাট তলিয়ে বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে। প্রায় প্রতি বর্ষায়ই জলাবদ্ধতার দুর্ভোগের শিকার হয়েছে শহরবাসী। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সিলেট বিভাগ ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কোদালীছড়ার শহরের বাইরের অংশে খনন করে। বাইরের অংশে খনন হলেও শহর অংশ ভরাট থাকায় এর সুফল পায়নি শহরবাসী। এ আবস্থায় পৌর কর্তৃপক্ষ শহরবাসীকে সম্পৃক্ত করে কোদালীছড়া খনন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করে। গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষকে যুক্ত করে শহরের অংশে চালানো হয় খনন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
এদিকে অভিযানের আগে কোদালীছড়ার বিভিন্ন স্থানে দখল করা স্থাপনা সরিয়ে নেন অনেকে। অনেকে আবার দখলে থাকা ছড়ার জমি স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেন। এছাড়া বাসাবাড়ির সীমানাপ্রাচীর ভেঙে দেন অনেকে।
এর মধ্য দিয়ে কোদালীছড়ায় অনেকটা পুরনো চেহারা ফিরে আসে।
এ বিষয়ে মেয়র মো. ফজলুর রহমান বলেন, স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণের লক্ষ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ শহরের টিবি হাসপাতাল থেকে জালালাবাদ গ্যাস অফিস পর্যন্ত ২ হাজার ৬০০ মিটার এলাকার একটি নকশা (ডিজাইন) তৈরি করে এলজিইডিতে জমা দেয়। সম্প্রতি এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী খলিলুর রহমান কোদালীছড়া পরিদর্শন করে নকশা অনুমোদন করেন। অবশেষে প্রতিরক্ষা দেয়াল ও ওয়াকওয়েসহ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য
