ঘোষিত লভ্যাংশ ও বার্ষিক ফলাফল
দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য ৩৫ শতাংশ নগদ
লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে
কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয়
(ইপিএস)
হয়েছে ৬ টাকা ৮১ পয়সা, যা আগের
বছরের একই সময়ে ছিল ৬ টাকা ৮১ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে
৮৬ টাকা ৬৯ পয়সা। সমাপ্ত হিসাব বছরে একমি ল্যাবরেটরিজের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে
১৪৪ কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা,
যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪২ কোটি ৬৫ লাখ ৭০ হাজার
টাকা।
আগামী ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত পিএসসি
কনভেনশন হলে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা
(এজিএম)
অনুষ্ঠিত হবে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ অক্টোবর।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের
৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় একমি ল্যাবরেটরিজ। সে বছর কোম্পানির ইপিএস ছিল ৬ টাকা ৭৪
পয়সা। ২০১৬ ও ২০১৭ হিসাব বছরের জন্যও শেয়ারহোল্ডারদের ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল
কোম্পানি লিমিটেড
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের
১৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) পরিচালনা
পর্ষদ।
সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা
৫৫ পয়সা, আগের
হিসাব বছরে যা ছিল ৪৪ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৭৪ পয়সা, আগের
হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩৫ টাকা ৬৮ পয়সা। আগামী ২৬ নভেম্বর বেলা ১১টায় রাজধানীর কাকরাইলে
অবস্থিত আইডিইবি ভবনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তন গ্যালারিতে কোম্পানির এজিএম আহ্বান
করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত
রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ নভেম্বর।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ৫ শতাংশ
নগদ লভ্যাংশ দেয় বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি।
ঋণমান
গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানি লিমিটেড
গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘এ প্লাস’
ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব
বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস
লিমিটেড (এনসিআর)।
২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ স্টক
লভ্যাংশ দিয়েছে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে
৫৪ পয়সা, আগের
হিসাব বছরে যা ছিল ৩৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১১ টাকা ৮৩ পয়সা। এক বছর
আগে অর্থাৎ
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর এনএভিপিএস ছিল ১১ টাকা ৮৬ পয়সা।
এদিকে অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি
২০১৯ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে
(জানুয়ারি-জুন) গ্লোবাল
ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ৫৭ পয়সা,
আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৫ পয়সা। দ্বিতীয়
প্রান্তিকে (এপ্রিল-মার্চ) ইপিএস
হয়েছে ২ পয়সা, আগের
হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা
৪১ পয়সা।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং
অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল
সার্ভিসেস লিমিটেড
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের
ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘এ মাইনাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-থ্রি’। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব
বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন
করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড
(এনসিআর)।
২০১৮ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা
করে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। আলোচ্য সময়ে
কোম্পানিটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৫৩ পয়সা,
আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৮৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর
সম্মিলিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৩ টাকা ৩৬ পয়সা।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি
২০১৯ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে
(জানুয়ারি-জুন) ইন্টারন্যাশনাল
লিজিংয়ের সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ১০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত
ইপিএস ছিল ৫২ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে
(এপ্রিল-জুন) সম্মিলিত
ইপিএস হয়েছে ১ পয়সা, আগের
হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ পয়সা। ৩০ জুন সম্মিলিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা
৪৬ পয়সা।
কোম্পানির ব্যবসা ও মূলধন পরিকল্পনা
জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড
দেশের বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোন লিমিটেডের
গ্রাহকদের সেবা প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে অনির্দিষ্ট মেয়াদে চুক্তি করেছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। চুক্তি
অনুযায়ী, জিপি
সেন্টার থেকে জেনেক্স ইনফোসিসের হ্যান্ডসেট,
অ্যাকসেসরিজ ও অন্যান্য পণ্য কিনতে পারবেন গ্রামীণফোনের
গ্রাহকরা। এতে মোট রাজস্ব বাড়বে বলে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
কোম্পানি সূত্র অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের
সঙ্গে চুক্তিটি কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদে করা হয়নি। কোম্পানি পরবর্তী সময়ে চুক্তি থেকে
সরে আসার আগ পর্যন্ত এ সেবা চলমান থাকবে। মূলত গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের কাছে পণ্য পৌঁছে
দেয়ার জন্যই এ চুক্তিটি করা হয়েছে।
এর আগে গত মাসের শুরুতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম
অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের গ্রাহকদের সেবা প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে পাঁচ
বছর মেয়াদি চুক্তি করে জেনেক্স ইনফোসিস। চুক্তি অনুযায়ী জেনেক্স ইনফোসিস রবির গ্রাহকদের
মাল্টি প্লে সার্ভিস প্রদান করবে।
জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড
মেডিকেল
ডিভাইসেস লিমিটেড
জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেডের
আর্টিক্যালস অব অ্যাসোসিয়েশনের বিদ্যমান ১২১ নম্বর ধারায় সংশোধনী আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। সংশোধনীর মাধ্যমে এ ধারায় নতুন যে বিষয়টি যুক্ত
হবে তা হলো—‘সাধারণ
সভায় পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত কোম্পানির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ পরিচালকের
সংখ্যা হবে যথাক্রমে ৫ ও ২০’।
বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের
অনুমোদনসাপেক্ষে সংশোধনীটি গৃহীত হবে। ২৩ অক্টোবর রাজধানীর স্কাই ভিউ হোটেলে কোম্পানিটির
ইজিএম অনুষ্ঠিত হবে।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ
লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে জেএমআই সিরিঞ্জেসের পরিচালনা পর্ষদ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির
ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ৫ পয়সা। আগামী ২৩ নভেম্বর সিদ্ধেশ্বরী রোডে অবস্থিত স্কাই সিটি
হোটেলে বেলা সাড়ে ১১টায় কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট আজ।
আলহাজ টেক্সটাইল মিলস
লিমিটেড
কয়েক দফায় মোট ১১৫ দিন কারখানা বন্ধ রাখা হলেও মজুদ
সুতার বিক্রিতে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় আলহাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের কারখানা অনির্দিষ্টকালের
জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। এছাড়া এই লে-অফের আওতাভুক্ত শ্রমিক ও কর্মচারীদের
বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৬(৭) ধারার অনুবলে আইনটির ২০(২)(ক) ধারা
অনুযায়ী চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুতা
বিক্রি পরিস্থিতিতে উন্নতি হলে কারখানা আবার চালু করা হবে এবং ছাঁটাইকৃত শ্রমিক ও কর্মচারীদের
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রথম দফায় চলতি বছরের ২৫ জুন থেকে ৩০ দিনের জন্য কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয় আলহাজ টেক্সটাইল। এক মাসেও বিক্রিতে কোনো ধরনের অগ্রগতি না হওয়ায় ৮ আগস্ট পর্যন্ত আরো ১৫ দিনের জন্য কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। তবে বর্ধিত মেয়াদ শেষেও সুতা অবিক্রীত থাকায় পরবর্তীতে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত আরো ১৫ দিনের জন্য কারখানা বন্ধের মেয়াদ বাড়ায় কোম্পানিটি। এর পরও সুতা বিক্রিতে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তৃতীয় দফায় ২৪ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর, চতুর্থ দফায় ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর ও পঞ্চম দফায় ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় আলহাজ টেক্সটাইল।