ইউরো ২০২০ বাছাই পর্বে প্রথম দুই ম্যাচে ড্র করে বেশ চাপে পড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল। ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে দলটি তাকিয়ে ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দিকে। নিরাশ করেননি ‘সিআর সেভেন’। বাছাই পর্বের পরের তিন ম্যাচে জয়ের পথে ছয় গোল করে দলকে দারুণ অবস্থানে নিয়ে এসেছেন রোনালদো। শুক্রবার লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে জয়েও লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। তিন নম্বরে থাকা সার্বিয়ার চেয়ে পর্তুগাল এগিয়ে ৪ পয়েন্টে। অবশ্য ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ইউক্রেন, যারা লিথুয়ানিয়াকে হারিয়েছে ২-০ গোলে।
লিসবনে সবুজ গালিচায় এদিন শুরু থেকেই উজ্জ্বল ছিলেন রোনালদো। ৬১ শতাংশ বল দখলে রাখা পর্তুগাল শট নিয়েছে ২২টি, যার ১০টিই ছিল লক্ষ্যে। ছয়টি শটের মাত্র দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে লুক্সেমবার্গ। কিন্তু সেগুলোও দলকে ইতিবাচক কোনো ফল এনে দিতে পারেনি। এদিন ম্যাচে এগিয়ে যেতে পর্তুগালের সময় লাগে মাত্র ১৬ মিনিট। বার্সেলোনা তারকা নেলসন সেমেদোর শট গোলকিপারের গায়ে লেগে ফিরে এলে ফিরতি দারুণ নৈপুণ্যে জালে জড়ান বের্নার্দো সিলভা। প্রথমার্ধের বাকি সময় অবশ্য দ্বিতীয় গোলের খোঁজেই কাটিয়ে দেয় পর্তুগাল।
বিরতির পর একাধিকবার কাছে গিয়েও বঞ্চিত হন রোনালদো। অবশ্য ৬৫ মিনিটে ঠিকই ডেডলক ভাঙেন জুভ সুপারস্টার। বল পেয়ে দারুণভাবে আগুয়ান প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের মাথার ওপর চিপ করে ফিনিশিংয়ের কাজটা সারেন তিনি। এটি আন্তর্জাতিক ফুটবলে জাতীয় দলের হয়ে রোনালদোর ৯৪তম গোল এবং সব মিলিয়ে তার গোল সংখ্যা ৬৯৯। আর একবার লক্ষ্যভেদ করতে পারলেই ৭০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করবেন সাবেক এ রিয়াল মাদ্রিদ সুপারস্টার। অবশ্য রোনালদোর মাইলফলকেই থেমে যায়নি পর্তুগাল। ৮৯ মিনিটে গনসালো গুয়েদেসও লক্ষ্যভেদ করলে ৩-০ গোলের দারুণ এক জয় তুলে নেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এদিকে বাছাই পর্বে ভুলতে বসা হারের স্বাদ ফিরে পেয়েছে ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ২০০৯ সালে ইউক্রেনের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল ইংলিশরা। তবে ইউরো বাছাই বিবেচনায় নিলে ইংল্যান্ডের সর্বশেষ হার ছিল ২০০৭ সালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৩ ম্যাচ পর এসে বাছাইয়ে হারের মুখ দেখল ‘থ্রি লায়ন্স’রা। গ্রুপ ‘এ’র ম্যাচে এদিন চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে ম্যাচের ৫ মিনিটে পেনাল্টি গোলে দলকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেন। কিন্তু ৪ মিনিট পরেই চেকদের সমতায় ফেরান