খেলা

গত কয়েকদিন ধরেই ব্রিটেন ও তুরস্কের সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন, আর্সেনাল ছেড়ে ফেনারবাখে যোগ দিচ্ছেন মেসুত ওজিল। এরই মধ্যে লন্ডনে নিজের বাড়িটি ১ কোটি পাউন্ডে বিক্রির জন্য ক্রেতা খুঁজছেন জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপজয়ী এ ফুটবলার।

আর্সেনালে ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন ওজিল, দলটির কোচ উনাই এমেরির ‘গুড বুক’ থেকেও বেরিয়ে গেছেন। এমেরি সম্প্রতি বলেছেন, আর্সেনাল দলে জায়গা পাওয়ার দাবি রাখেন না ওজিল। মূলত তার আচরণ ও ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আর্সেনালের স্প্যানিশ কোচ। সেই থেকে গুঞ্জন জোরালো হচ্ছে। গত সপ্তাহে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, জানুয়ারির দলবদলে তুর্কি লিগের দল ফেনারবাখে নাম লেখাতে যাচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এ মিডফিল্ডার।

চলতি মৌসুমে আর্সেনালের হয়ে মাত্র দুই ম্যাচে খেলেছেন ওজিল, যার একটি আবার কারাবাও কাপে। তার চেয়ে জো উইলকক ও দানি সেবায়োসকে প্রাধান্য দিচ্ছেন কোচ। এ থেকেই এমিরেটসে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনুমান করে নেয়া যাচ্ছে। সর্বশেষ এমেরির কথায় আর কোনো সংশয়ই নেই যে ওজিলকে দলে চান না তিনি।

লন্ডনের তিনতলাবিশিষ্ট বাড়িতে স্ত্রী আমিনা গুলসেকে নিয়ে থাকেন ওজিল, যিনি জার্মানি জাতীয় দল থেকে গত বছর অবসর নেন। এ বাড়িতে রয়েছে ছয়টি বেডরুম, নিজস্ব সিনেমা থিয়েটার, আধুনিক রান্নাঘর, বারসহ নানা কিছু। ২০১৬ সালে লন্ডনের বাড়িটি কিনেছিলেন ওজিল। মজার ব্যাপার, ঠিক ওই সময়ই তার প্রথম আর্সেনাল ছাড়ার গুঞ্জন উঠেছিল। তবে তখনকার আর এখনকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারকাখচিত আর্সেনাল স্কোয়াডে ভবিষ্যতে তার জায়গা না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এমিরেটসে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ আঁচ করতে পেরেই কি বাড়ি বিক্রি করতে চাইছেন ওজিল?

তুরস্কের সংবাদমাধ্যম জানায়, ফেনারবাখে নাম লেখানোর কাছাকাছি পৌঁছে ওজিল। তাকে ধার চুক্তিতে নেবে ফেনারবাখ এবং উচ্চ বেতন দুই ক্লাব ভাগাভাগি করে পরিশোধ করবে। কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম লিখছে, জানুয়ারিতে বার্সেলোনায় নাম লেখাতে আগ্রহী ওজিল। ইভান রাকিতিচের জায়গায় তাকে দলে টানতে পারে কাতালান জায়ান্টরা। লা লিগা জায়ান্টরা ওজিলকে কিনলে তিনি নিজের বেতন কমিয়ে নিতেও রাজি আছেন বলে দাবি করছেন ডন ব্যালন।

এসব গুঞ্জনের মধ্যেই গতকাল আর্সেনালের প্রধান নির্বাহী রাউল সানলেহির উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য সান লিখেছে, এখনো আর্সেনালে ভবিষ্যৎ আছে ওজিলের। তবে সানলেহি শর্তও জুড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং আর্সেনালের হয়ে নিজেকে সপ্তাহের সাতদিন ২৪ ঘণ্টাই নিয়োজিত