পুরনো ও জীর্ণ অবকাঠামোয় চলছে নদীবন্দরগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছাতক নদীবন্দরের জানান দিচ্ছে ছোট্ট একটি যাত্রী ছাউনি। সুনামগঞ্জের টাকেরঘাটে তা-ও নেই। ইজারাদারদের টং দোকানের মতো একটি স্থাপনা আছে কেবল। সেবার ন্যূনতম ব্যবস্থা নেই সুনামগঞ্জ সদর নৌবন্দরেও।

সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নদীবন্দরে তিনটি জেটি নির্মাণ করা হয় চার দশক আগে। এরপর আর জেটির সংখ্যা বাড়েনি। পুরনোগুলোও সংস্কার হয়নি। এক সময়ের প্রসিদ্ধ চিলমারী নদীবন্দরে কেবল সাইনবোর্ডই আছে। পণ্য নিয়ে জাহাজ সেখানে ভেড়ে না।

একটিমাত্র জেটিতেই চলছে নারায়ণগঞ্জের বরফকল এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে ওঠা নদীবন্দরটি। স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ে নির্মিত এ জেটি দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ লোড-আনলোড হচ্ছে। যদিও বন্দর ব্যবহারকারীদের জন্য রাখা হয়নি বসার জায়গা। নেই অফিস বা শেডও।

দেশে গেজেটভুক্ত নদীবন্দর আছে ৩২টি। এর মধ্যে বেশকিছু এখনো চালু হয়নি। যেগুলো চালু আছে সেগুলোও চলছে পুরনো, জীর্ণ ও অপ্রতুল অবকাঠামো দিয়ে। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। যদিও মাশুল আছে ঠিকই।

তবে নদীবন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ চলছে বলে জানান নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, আমাদের যে বন্দরগুলো রয়েছে, তার প্রতিটাকে আরো আধুনিকায়নের জন্য প্রকল্প নেয়া হচ্ছে এবং প্রকল্প নেয়া আছে। নদীপথ বৃদ্ধি করতে হলে এ নদীবন্দরগুলোকেও উন্নত করতে হবে, আমরা সেটা করব।

দেশের নদীবন্দরগুলোর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি নদীবন্দর সরেজমিন ঘুরে দেখেন বণিক বার্তার জেলা প্রতিনিধিরা। তাদের পাঠানো প্রতিবেদন

বাঘাবাড়ী: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ীতে বড়াল নদের তীরে দ্বিতীয় শ্রেণীর নদীবন্দরটি প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৮১ সালে। ১৯৮৩ সালে এটি চালু হয়। পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য নদীবন্দরটিতে জেটি নির্মাণ করা হয় তিনটি। এরপর এ বন্দরে আর কোনো নতুন জেটি নির্মাণ বা সংস্কার হয়নি। যদিও ইরি-বোরো মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার ২৬টি বাফার গুদামে পণ্য পাঠানো হয় এ বন্দর ব্যবহার করেই। উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার জ্বালানি তেল, কয়লা, গমসহ অন্যান্য পণ্য সরবরাহেরও প্রধান মাধ্যম নদীবন্দরটি। অথচ প্রতি বছরই নাব্য সংকটে জাহাজ চলাচল বিঘ্নিত হয়। এছাড়া বন্দরের জেটি পুরনো হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের ঝুঁকি নিয়ে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ করতে হয়। পুরনো জরাজীর্ণ ঘাট ব্যবস্থায় চলছে নদীবন্দরটি।

বাঘাবাড়ী নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক এসএম সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বাঘাবাড়ী নদীবন্দরটির উন্নয়নে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এজন্য অর্থ বরাদ্দও হয়েছে। এসব কাজ শেষ হলে বন্দরটি প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হবে। তখন আর সমস্যা থাকবে না।

নওয়াপাড়া: যশোরের নওয়াপাড়া নদীবন্দরে জেটি আছে আটটি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এসব জেটি ব্যবহার করছেন না। নদীর তীর থেকে জেটি ও পন্টুন অনেক দূরে হওয়ার কারণে সময় ও খরচ বেড়ে যাওয়ায় এগুলো ব্যবহার করছেন না তারা। এছাড়া ওয়্যারহাউজের সুবিধা বৃদ্ধি, নদীভাঙন রোধে কি-ওয়াল, পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য আরসিসি সিঁড়ি ও মালবাহী ট্রাকের জন্য পার্কিং ইয়ার্ডও নির্মাণ করেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে রাজস্ব দিয়েও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা।

যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও আমদানিকারক মিজানুর রহমান খান বলেন, প্রতি বছর বন্দরটি দিয়ে পণ্য আমদানি বাড়ছে। সে অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে না। আধুনিকায়নের মাধ্যমে বন্দরের সেবার মান বাড়ালে ব্যবসায়ীরা এটি ব্যবহারে আরো বেশি আগ্রহী হবেন।

যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় নদীবন্দর স্থাপনের ঘোষণা দেয়া হয় ২০০৪ সালের এপ্রিলে। এরপর ২০০৭ সালের মে মাসে শুরু হয় এর কার্যক্রম। আমদানি করা সার ও খাদ্যশস্য চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে বড় জাহাজ থেকে খালাসের পর ছোট বার্জ ও কার্গোতে করে নদীপথে তা নওয়াপাড়া নদীবন্দরে আনা হয়। ভারত থেকে স্থলপথে যেসব পণ্য আমদানি করা হয় তারও বেশির ভাগ রেলের ওয়াগনে করে দর্শনা স্থলবন্দর হয়ে নওয়াপাড়ায় আনা হয়। এসব পণ্য পরে সড়ক ও নদীপথে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়।

সার ও খাদ্যশস্য আমদানিকারক আদিত্য মজুমদার বলেন, নওয়াপাড়ায় পণ্যবোঝাই জাহাজের আগমন বাড়লেও নদীবন্দরটির উন্নয়ন হচ্ছে না। শুধু মাশুল দিয়ে যাচ্ছি। বার্জ ও কার্গো থেকে পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য প্রয়োজনীয় সিঁড়ি, সড়ক ও মালবাহী ট্রাকের জন্য পার্কিং ইয়ার্ড না থাকায় প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। নিজেদের ঘাট নিজেরাই তৈরি করে নিচ্ছি।

বন্দরটির আধুনিকায়নের কাজ চলছে বলে জানান নওয়াপাড়া নদীবন্দরের কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ। তিনি বলেন, বর্তমানে ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরের ৩৭ কিলোমিটারে ৩০ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। কাজটি প্রায় শেষের দিকে। এটি সম্পন্ন হলে আরো বেশি জাহাজ যাতায়াত করতে পারবে।

নারায়ণগঞ্জ: জেলার বরফকল এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে ওঠা নৌবন্দরটি চলছে একটি মাত্র জেটি দিয়ে। সেটিও স্বাধীনতাপূর্ব সময়ে নির্মিত। পণ্য ওঠানো-নামানোর আধুনিক কোনো ব্যবস্থা নেই গুরুত্বপূর্ণ এ নদীবন্দরটিতে। বন্দর ব্যবহারকারীদের জন্য বসার জায়গা, অফিস বা কোনো শেডও এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি। ইজারাদারের লোকজন জেটির পাশে প্লাস্টিকের পর্দা টানিয়ে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাগজপত্র নিয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নৌবন্দরে তিনটি জাহাজ থেকে সিরামিক তৈরির মাটি ও লোহার কয়েল নামানো হচ্ছে। জেটির আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ৪০-৫০টি ট্রাক।

পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ট্রাক মালিক হাজী লতিফ মিয়া জানান, এ নৌবন্দরের এক সময় ব্যাপক সুনাম ছিল। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন শিল্পের জন্য পণ্যসামগ্রী এ জেটিতেই লোড-আনলোড হতো। নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের সে জৌলুস আর নেই। একটিমাত্র জেটি ছাড়া আধুনিক আর কোনো সুযোগ-সুবিধা গড়ে না ওঠায় অনেক ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক বন্দরটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এখন সপ্তাহে এক থেকে দুটি জাহাজ পণ্য নিয়ে আসে জেটিতে।

নৌবন্দর থেকে মূল সড়কে পণ্য পরিবহনের রাস্তাটিও বেহাল। জেটি থেকে মূল সড়কের মুখ পর্যন্ত রাস্তাটি ইট বিছানো। পণ্যবাহী ট্রাকের চাপে ইট বিছানো রাস্তার অনেক অংশ দেবে গেছে। এ কারণে রাস্তাটি দিয়ে পণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ নৌবন্দরের ইজারাদার মনির হোসেন বলেন, জেটির পাশে বসার কোনো ব্যবস্থা বা অফিস নেই। জেটি থেকে প্রায় ১০০ ফুট দূরে রাস্তার পাশে প্লাস্টিকের পর্দা টানিয়ে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি একাধিকবার জানিয়েও কাজ হয়নি।

চিলমারী: একসময় দেশের ঐতিহ্যবাহী নৌবন্দর ছিল কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌবন্দর। উত্তরাঞ্চলের বাণিজ্য পরিচালিত হতো চিলমারীর এ নদীবন্দরকে ঘিরেই। মহাজনরা এ চিলমারী বন্দর থেকেই পণ্য নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতেন। এ বন্দর দিয়েই এ অঞ্চলের উৎপাদিত পণ্য পাঠানো হতো দেশের বিভিন্ন স্থানে। বড় বড় জাহাজ ভিড়ত। কর্মসংস্থান ছিল অনেক মানুষের।

গতকাল সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বন্দর কর্তৃপক্ষের এক কক্ষবিশিষ্ট একটি ঘর। আর আছে একটি সাইন বোর্ড। ঘর থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষের কেউ সেখানে থাকেন না। ঘরটি এখন নৌকা ঘাটের লোকজন ব্যবহার করছে।

ঘাট এলাকার বাসিন্দা ও নৌকা ঘাটের শ্রমিকরা জানান, ১৫ বছর আগেও এই নৌবন্দরে বড় বড় জাহাজ ভিড়ত। কিন্তু নাব্য সংকটে আর কোনো জাহাজ ভিড়তে পারছে না।

জানা গেছে, তিন বছর আগে নতুন করে চিলমারী বন্দর চালুর ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর বেশ কয়েকবার মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বন্দর এলাকা পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো কাজ হয়নি। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, একনেকে পাস হলেই শুরু হবে বন্দরের কাজ।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক মো. শফিকুল হক বলেন, এরই মধ্যে বন্দরের কার্যক্রম ও উন্নয়ন নিয়ে আমরা নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন একনেকে পাস হলেই কার্যক্রম শুরু হবে। আমরা সবাই চাই চিলমারী নদীবন্দরটি দ্রুত চালু হোক।

সিলেট: জেলার নদীবন্দরগুলো দিয়ে মূলত পণ্যই পরিবহন হয়। সুনামগঞ্জ সদর ছাড়া অন্য কোনো বন্দর দিয়ে তেমন যাত্রী পরিবহন হয় না। মূলত বালি, পাথর আর কয়লা পরিবহন হয় বন্দরগুলো দিয়ে। বর্ষা মৌসুমে একেকটি বন্দরে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী নৌযান চলাচল করলেও এসব বন্দরে গড়ে ওঠেনি তেমন কোনো অবকাঠামো।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের আশুগঞ্জ কার্যালয়ের (সিলেট অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত) পোর্ট অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, নৌবন্দরগুলোতে অবকাঠামো নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে সব বন্দরে অবকাঠামো নির্মিত হবে। অবকাঠামো নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে জায়গা বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছি। অবকাঠামো নির্মিত হলে তাতে সব সেবার ব্যবস্থা থাকবে।

নৌবন্দর ইজারার শর্তে রয়েছে, লাইসেন্সগ্রহীতা নিজ খরচে বন্দরে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করবেন। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা, সৌন্দর্যবর্ধন ও বৃক্ষরোপণ করবেন। যদিও সিলেট বিভাগের তিনটি বন্দরের কোথাও বিশুদ্ধ পানির কোনো ব্যবস্থা রাখেননি ইজারাদাররা। আলো থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। আর বৃক্ষরোপণেরও উদ্যোগ নেননি কোনো ইজারাদার।

ইজারাদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পণ্যবাহী কার্গো থেকে অতিরিক্ত শুল্ক আদায়, হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। ইজারার শর্ত অনুযায়ী প্রতি ঘনফুট পণ্য থেকে ২৫ পয়সা করে শুল্ক আদায় করার কথা। অনেক ক্ষেত্রেই ইজারাদাররা এর চেয়ে বেশি অর্থ আদায় করেন।

ছাতক নৌবন্দরের ইজারাদার মেসার্স বরকতিয়া ট্রেডার্সের অংশীদার মো. আতিক মিয়া বলেন, আমাদের বন্দর দিয়ে মূলত পণ্য পরিবহন হয়। তাই এগুলোয় যাত্রীসেবার বিষয়টি ততটা গুরুত্ব পায়নি। অতিরিক্ত ও অবৈধভাবে পণ্যবাহী নৌযান থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ সঠিক নয়।

ফরিদপুর: জেলার সিঅ্যান্ডবি ঘাটকে নদীবন্দর ঘোষণা করা হলেও কোনো অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। পন্টুনের অভাবে ও ঘাট পর্যন্ত সড়ক পাকা না থাকায় পণ্য খালাস ও বোঝাইয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ফরিদপুরের সিঅ্যান্ডবি ঘাটকেফরিদপুর নদীবন্দর হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। ২০১৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর নদীবন্দর হিসেবে ইজারা দেয়া হয়।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রতি বছর নভেম্বর মাসের শুরুর দিক থেকেই পদ্মা নদীর হাজীগঞ্জ থেকে নদীবন্দর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে নাব্য সংকট দেখা দেয়। নভেম্বরের শেষের দিকে সংকট চরমে পৌঁছে। ফলে ঘাটে ভিড়তে পারে না পণ্যবাহী মাঝারি ও বড় জাহাজ। এছাড়া পন্টুন না থাকায় জাহাজ থেকে পণ্য খালাসও দুরূহ হয়ে পড়ে। ফলে অধিক শ্রমিক নিয়োগ করতে হয়, যাতে খরচ বেড়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন